স্পেশাল করেসপন্ডেন্ট,বার্তা২৪.কম
প্রকাশ: ১৩ মার্চ ২০১৯, ১৮:৫০

মোহাম্মদ মিঠুন : ভাল কিছুর অপেক্ষায়
ওয়ানডে সিরিজে তিনি ছিলেন দলের সেরা পারফর্মার। দলের ব্যর্থতার মাঝেও ব্যাট হাতে মোহাম্মদ মিঠুন ছিলেন উজ্জ্বল। সিরিজের প্রথম দুই ওয়ানডেতে হাফসেঞ্চুরি পেয়েছিলেন। কিন্তু সেই মিঠুন টেস্ট সিরিজে নিউজিল্যান্ডের বিরুদ্ধে মিডলঅর্ডারে ব্যর্থদের একজন।
-কেন? ওয়ানডের ফর্মটা কেন টেস্ট সিরিজে কাজে লাগলে না তার?
বুধবার ক্রাইস্টচার্চে পৌছানোর টেস্ট সিরিজে নিজের এবং দলের সমস্যার কারণ খুঁজতে গিয়ে মোহাম্মদ মিঠুন অনেককিছুই স্পষ্ঠ করলেন। পেছনের দুই টেস্টে নিজের ব্যাটিং প্রসঙ্গে বললেন- ‘দেখুন ওয়ানডে ও টেস্ট দুটো দুই ধরনের ক্রিকেট। ওয়ানডের সঙ্গে টেস্টের কোন মিল নেই। ওয়ানডেতে বোলার যে পরিকল্পনা নিয়ে বল করে টেস্টে থাকে ভিন্ন পরিকল্পনা। আর এই কন্ডিশনের সঙ্গে খাপ খাইয়ে নেয়ার মতো যথেস্ট সময়ও ছিলো না আমাদের। তাছাড়া ওরা যে ধরনের বল করছে, যে গতিতে বল করছে-আমরা খুব অভ্যস্ত না তাতে।’
মিঠুন স্বীকার করলেন হ্যামিল্টন এবং ওয়েলিংটন টেস্টে নিউজিল্যান্ডের বোলারদের গতির কাছে হেরেছেন তারা। নেইল ওয়েগনারের শর্ট পিচ বোলিং ফর্মূলা থেকে উইকেট বাঁচানোর কোন উপায় এখনো সিরিজে খুঁজে পায়নি বাংলাদেশ। দুই টেস্টে ইনিংস ব্যবধানে হার। কিউই পেস বোলাদের বিপক্ষে লড়তে না পারার কারণ কি নেহাৎ ব্যাটিং দক্ষতায় ঘাটতি নাকি মানষিক দৃঢ়তার অভাবেও ভুগছে বাংলাদেশ?
মানষিক দৃঢ়তার প্রয়োজন মেনে মিঠুন জানালেন, চেষ্টায় তাদের কোন ঘাটতি নেই-‘টেস্ট ক্রিকেটে মানষিক দৃঢ়তা অনেক বড় বিষয়। অন্য ফরমেট থেকে এই ফরমেটের বড় পার্থক্য ওখানেই। আপনি কতোটা দৃঢ়তা দেখাচ্ছেন সেটা খুবই গুরুত্বপূর্ণ ব্যাপার। আমার বিশ্বাস প্রত্যেকটা খেলোয়াড়ই চেষ্টা করে মাঠের ক্রিকেটে তার শতভাগ দেয়ার। কারণ আমরা তো এখানে কোন ক্লাবের বা পাড়ার হয়ে ক্রিকেট খেলতে আসিনি। এখানে আমরা দেশের হয়ে খেলছি। নিজের সেরাটা দেয়ার চেষ্টাই করে ক্রিকেটাররা। কিন্তু প্রত্যেক দিন তো আর সবাই পারে না। আমার নিজেরটাই বলি, ভাল করার জন্য আমার শতভাগ কমিটমেন্ট ছিলো। প্রায় সবভাবেই আমি চেষ্টা করেছি। তবে হ্যাঁ, আমি যতটুকু আশা করেছিলাম সেটা হয়নি।’
১৮ বছর ধরে টেস্ট ক্রিকেট খেলছে বাংলাদেশ। কিন্তু এখনো গতির উইকেট দেখলেই ব্যাটসম্যানরা কাবু হয়ে যান। এমন উইকেটে শুধু ব্যাটসম্যানরাই যে পারেন না-তা নয়। বোলাররাও বোলিং সহায়ক এসব উইকেটের সুবিধা তুলে নিতে পারেন না। নিজে ব্যাটসম্যান হয়ে এই প্রশ্নে বোলারদের পাশেই সমর্থন ও সহমর্মিতার হাত রাখছেন মিঠুন-‘টেস্টের জন্য আমাদের দেশে এই ধরনের উইকেট তৈরি করাটা কঠিন। তবে শুধু উইকেট তৈরি করলে হবে না। ঐ ধরনের বোলারও লাগবে। নিউজিল্যান্ডের এই দলের বোলারদের দেখেন ওরা কত অভিজ্ঞ! কত লম্বা সময় ধরে একেকজন দেশের হয়ে খেলছে। টেস্ট ক্রিকেটে অভিজ্ঞতা অনেক বেশি গুরুত্বপূর্ণ। নিউজিল্যান্ডের বোলাররাও খেলতে খেলতেই আজ এত ভাল হয়েছে। তেমন অভিজ্ঞতা আমাদের বোলারদেরও যখন হবে তখন আমাদের বোলিং আক্রমণও ভাল হবে।’
ভাল কিছুর জন্য তাহলে সামনের সেইদিনের অপেক্ষায়!

