স্পেশাল করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম
প্রকাশ: ১৪ মার্চ ২০১৯, ১৮:৩৩

বিইআরসি চেয়ারম্যান মনোয়ার ইসলাম, ছবি: সংগৃহীত
বাংলাদেশ এনার্জি রেগুলেটরি কমিশনের (বিইআরসি) চেয়ারম্যান মনোয়ার ইসলাম বলেছেন, গ্যাস বিতরণ কোম্পানি যত বেশি দাম বাড়ানোর আবেদন করুক না কেন, যৌক্তিক পর্যায়ে তা বিবেচনা করা হবে। কাজেই এ নিয়ে জনগণকে আতঙ্কিত না হওয়ার অনুরোধ জানাচ্ছি।
বৃহস্পতিবার (১৪ মার্চ) বিইআরসিতে গ্যাসের দাম বৃদ্ধির আবেদনের উপর শুনানি শেষে তিনি এ কথা বলেন।
চেয়ারম্যান বলেন, অতীতে কোম্পানি যাই বলুক, যৌক্তিক পর্যায়ে দাম বাড়ানো হয়েছে। ২০১৭ সালে ৯৫ শতাংশ দাম বাড়ানোর প্রস্তাব করেছিল, বিইআরসি ১১ শতাংশ বাড়িয়েছিল। ২০১৮ সালে ৭৫ শতাংশ দাম বাড়ানোর প্রস্তাবের বিপরীতে কোনো দাম বাড়ানো হয়নি।
মনোয়ার ইসলাম বলেন, আমি বিতরণ কোম্পানিগুলোকে অনুরোধ করব যেন সঠিক পরিমাণে প্রস্তাব করে। প্রবাদ আছে, এলএমজি চাইলে কমপক্ষে পিস্তল তো পাওয়া যাবে! এমন ভাবার কোনো কারণ নেই।
তিনি বলেন, আমরা সবার কথা মনোযোগ দিয়ে শুনেছি। নোটও করা হয়েছে। কমিশন পুরোপুরি স্বাধীন ও সম্পূর্ণ নিরপেক্ষভাবে বিচার বিবেচনা করে সিদ্ধান্ত জানাবে। তবে আমরা কখনও কাউকে সন্তুষ্ট করতে পারিনি। দাম বাড়লে স্বাভাবিকভাবে ভোক্তাদের উপর চাপ বেড়ে যায়। সে কারণে তারা অসন্তুষ্ট হন।
স্থানীয় পর্যায়ে গিয়ে গণশুনানি করার প্রস্তাব বিইআরসি বিবেচনা করবে বলেও জানান চেয়ারম্যান মনোয়ার ইসলাম।

এ সময় জ্বালানি বিভাগের যুগ্ম সচিব জহির রায়হান বলেন, বিইআরসিকে অনেক কিছু বিবেচনা করতে হবে। একদিকে যেমন ভোক্তা না থাকলে কোম্পানির কোনো দাম নেই, তেমনি কোম্পানি না থাকলে ভোক্তা সেবা পাবেন না। দুই পক্ষকেই বাঁচাতে হবে।
উল্লেখ্য, গত ১১ মার্চ শুরু হয় গণশুনানি। প্রথম দিনে গ্যাস ট্রান্সমিশন কোম্পানির হুইলিং চার্জ বৃদ্ধির আবেদনের উপর শুনানি নেওয়া হয়। এরপর পর্যায়ক্রমে ছয়টি বিতরণ কোম্পানির দাম বৃদ্ধির উপর গণশুনানি করা হয়। প্রত্যেকে ১০২ শতাংশ হারে দাম বাড়ানোর প্রস্তাব করেছে। প্রধান কারণ দেখানো হয়েছে- চড়া দরে এলএনজি আমদানির কথা। তবে ভোক্তাদের পক্ষ থেকে তীব্র বিরোধিতা করা হয়।
গণশুনানিতে অংশ নিয়ে ভোক্তারা বিশেষ ক্ষমতা আইন বন্ধ, বাপেক্সকে শক্তিশালী করা ও দেশীয় গ্যাস উত্তোলন কার্যক্রম জোরদার করার প্রস্তাব দেন।

