ইসমাঈল হোসাইন রাসেল, স্টাফ করেসপন্ডেন্ট,বার্তা২৪.কম
প্রকাশ: ৬ মার্চ ২০১৯, ২০:৫২

ছবি: বার্তা২৪
আসন্ন পঞ্চম উপজেলা পরিষদ নির্বাচনের পরিচালনা ও আইনশৃঙ্খলা খাতে বাজেট ধরা হয়েছে প্রায় ৭৯০ কোটি টাকা। যা চতুর্থ উপজেলা নির্বাচনের চেয়ে ৪১৭ কোটি টাকা বেশি। এবারের উপজেলার ভোটে নির্বাচন পরিচালনায় তিনশ কোটি টাকার বেশি এবং আইনশৃঙ্খলা খাতে সাড়ে চারশ কোটি টাকার বেশি বাজেট ধরা হয়েছে।
সর্বশেষ ২০১৪ সালে চতুর্থ উপজেলা পরিষদের ভোটে প্রায় ৩৭৩ কোটি টাকা ব্যয় হয়েছিল। এই বাজেটে আইনশৃঙ্খলা খাতে প্রায় ২০০ কোটি টাকা ও নির্বাচন পরিচালনায় ১৭৩ কোটি টাকা ব্যয় হয়। এছাড়াও পঞ্চম উপজেলার ভোটে একাদশ সংসদ নির্বাচনের প্রায় ২৬ কোটি টাকা বেশি ব্যয় হচ্ছে। ৩০ ডিসেম্বরের ভোটে ৭৬৪ কোটি টাকা ব্যয় হয়। এরমধ্যে নির্বাচন পরিচালনায় ৩০০ কোটি টাকা; আইশৃঙ্খলা বিহানীর জন্য ব্যয় হয় ৪৬৪ কোটি টাকা।
নির্বাচন কমিশনের বাজেট শাখা জানায়, শুরুতে উপজেলা নির্বাচনের জন্য খসড়া বাজেট ৯১০ কোটি টাকা ধরা হয়েছিল। কিন্তু সব টাকাই উপজেলা নির্বাচনের জন্য নয়। এরমধ্যে ট্যাব, ইভিএম ও অন্যান্য খাতের জন্যও বরাদ্দ যুক্ত ছিল। প্রথমে সকল সদর উপজেলাগুলোতে (৬০টি) ইলেক্ট্রনিক ভোটিং মেশিনের মাধ্যমে ভোট হওয়ার কথা ছিল। কিন্তু এখন ভোট হবে ১০ থেকে ১৫টি উপজেলায়। ইতোপূর্বে ৬০টি উপজেলার জন্য বাজেট ছিল ৩০ কোটি টাকা, সেটি এখন ১০ কোটি টাকায় নেমে আসবে। ফলে এখানেই কমে যাচ্ছে ২০ কোটি টাকা। আর ইভিএম মেশিন বাবদ ৫০ কোটি টাকা কমে গেছে। এছাড়াও ট্যাবের জন্য যে ৫০ কোটি টাকা বাজেট রয়েছে সেটিও উপজেলার ভোটের বাজেটে যুক্ত হবে না। ফলে ভোটে বাজেট দাঁড়ায় সাতশ ৯০ কোটি টাকা।
পাঁচ বছরের মাথায় নির্বাচনী ব্যয় দ্বিগুণ হওয়ার বিষয়ে ইসির বাজেট শাখার কর্মকর্তারা জানান, নির্বাচন কর্মকর্তাদের ভাতা বৃদ্ধি, ধাপে ধাপে ভোট, নির্বাচনী সামগ্রী, ভোটকেন্দ্র ও ভোটকক্ষ আগের তুলনায় বেড়ে যাওয়ায় সার্বিক ব্যয়ও বেড়েছে। নির্বাচন কর্মকর্তাদের ভাতা আগের চেয়ে দিগুণ হয়েছে। বিগত নির্বাচনে তাদের দেড় হাজার টাকা ভাতা দেওয়া হলেও এবার ভাতা দেয়া হচ্ছে চার হাজার টাকা।দ্বিতীয় ধাপের উপজেলার ভোটে ৫০ কোটি টাকার বাজেটের মধ্যে ৩৬ কোটি টাকাই ভোটগ্রহণ কর্মকর্তাদের জন্য বরাদ্দ দেয়া হয়েছে।
ইসির বাজেট শাখার সিনিয়র সহকারি সচিব এনামুল হক বার্তা২৪.কমকে বলেন, উপজেলার ভোটের জন্য সম্ভাব্য সাতশ' ৯০ কোটি টাকার বাজেট ধরা হয়েছে। ইতোমধ্যে দুই ধাপের ভোটের বাজেট বরাদ্দ করা হয়েছে। প্রথম ধাপে নির্বাচন পরিচলার জন্য ৪০ কোটি টাকা ও দ্বিতীয় ধাপের ৫০ কোটি টাকা বরাদ্দ দেয়া হয়েছে। আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর জন্য বাজেটের মধ্যে কোন বাহিনী কত টাকা বরাদ্দ পাবে সেটি এখনও চূড়ান্ত হয়নি।
উল্লেখ্য দেশের ৪৯২ উপজেলার মধ্যে প্রথম ধাপে ৮৩টি, দ্বিতীয় ধাপে ১২৪টি, তৃতীয় ধাপে ১২৭টি ও চতুর্থ ধাপে ১২২টি উপজেলায় ভোট হবে। ঈদুল ফিতরের পর আগামী জুনে বাকি উপজেলায় ভোটের কথা রয়েছে।

