দেশের খবর

স্বাস্থ্য কেন্দ্রের মাঠেই সরকারি বিদ্যালয়ের পাঠদান

তোফায়েল হোসেন জাকির, ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট, গাইবান্ধা, বার্তা২৪.কম

প্রকাশ: ১৩ মার্চ ২০১৯, ১৮:৪২

স্বাস্থ্য কেন্দ্রের মাঠেই সরকারি বিদ্যালয়ের পাঠদান

খোলা আকাশের নিচে ক্লাস করছে শিক্ষার্থীরা, ছবি: বার্তা২৪

গাইবান্ধা সদর উপজেলার কামারজানী ইউনিয়নের গোঘাট গ্রামের কলমু এফএনসি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের ভবন নদীগর্ভে বিলীন হয়ে গেছে। ফলে শিক্ষার্থীদের পাঠদান কার্যক্রম চলছে উপ-স্বাস্থ্য কেন্দ্রের খোলা মাঠে। এমন পরিস্থিতিতে আকাশে মেঘ জমলে বই-খাতা নিয়ে দৌড়ে নিরাপদে চলে যেতে হয় শিক্ষার্থীদের। আর বৃষ্টি হলে বন্ধ রাখতে হয় স্কুল।

জানা গেছে, ১৯৪৫ সালে বিদ্যালয়টি স্থাপিত হলেও সরকারি করা হয় ১৯৭৩ সালে। বর্তমানে প্রধান শিক্ষক ছুটিতে থাকায় ১৫৪ জন শিক্ষার্থীর বিপরীতে আছেন মাত্র দুজন শিক্ষক। বিদ্যালয়ের একমাত্র ভবনটি ২০১৭ সালে নদীগর্ভে বিলীন হয়ে যায়। তারপর থেকে শিক্ষা কার্যক্রম চলছে কামারজানী উপ-স্বাস্থ্য কেন্দ্রের খোলা মাঠে। ফলে রোদ থেকে রক্ষা পেতে কয়েকবার বসার স্থান পরিবর্তন করতে হয়।

শিক্ষার্থী সাথী খাতুন ও রাসেল মিয়া বার্তা২৪.কম-কে জানান, একসাথে অনেককে বসতে হচ্ছে। এতে উচ্চ আওয়াজের কারণে মনোযোগ নষ্ট হয়। মাটিতে ত্রিপল বিছিয়ে বসতে হওয়ায় লিখতে কষ্ট হয় ও রোদে গরম লাগে।

https://img.imageboss.me/width/700/quality:100/https://img.barta24.com/uploads/news/2019/Mar/13/1552480883506.jpg

এক শিক্ষার্থীর অভিভাবক জলিল মিয়া বার্তা২৪.কম-কে বলেন, 'খোলা আকাশের নিচে বসতে হওয়ায় শিক্ষার্থীদের বিভিন্ন সমস্যা হচ্ছে। ফলে তারা এখন বিদ্যালয়ে যেতে চায় না।'

এ বিষয়ে বিদ্যালয়ের সভাপতি সফিউল ইসলাম বার্তা২৪.কম-কে বলেন, 'যে টাকা ও টিন বরাদ্দ পাওয়া গেছে সেটা দিয়ে জমিতে বালু ভরাট করে একটি টিনশেড ঘর তোলা হচ্ছে। দরজা-জানালা তৈরি করতে দেওয়া হয়েছে। আশা করছি মেঝে পাকা করে দুই সপ্তাহের মধ্যেই বিদ্যালয়ের নতুন টিনশেড ঘরে ক্লাস করানো সম্ভব হবে।'

ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষক মোস্তফা কামাল বার্তা২৪.কম-কে বলেন, 'খোলা আকাশের নিচে শিক্ষার্থীদের ক্লাস করাতে বিভিন্ন সমস্যা হয়। তাছাড়া প্রতিদিনই কমছে শিক্ষার্থীদের উপস্থিতি।'

উপজেলা শিক্ষা অফিসার আব্দুস ছালাম বার্তা২৪.কম-কে বলেন, 'বিদ্যালয়ের নতুন ভবন নির্মাণে ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের কাছে আবেদন করা হয়েছে।'