ঢাকা মঙ্গলবার, ২২ অক্টোবর ২০২৪

‘সাকিব-তামিমদের জন্য বরাদ্ধ সুবিধা লুটেছে মোস্তাফিজ’

‘সাকিব-তামিমদের জন্য বরাদ্ধ সুবিধা লুটেছে মোস্তাফিজ’

ফাইল ছবি

স্পোর্টস ডেস্ক

প্রকাশ: ০৭ মে ২০২২ | ১২:০৩ | আপডেট: ১৮ অক্টোবর ২০২৩ | ১২:২৬

আরও পড়ুন: কোহলির চেয়ে বাবরকে এগিয়ে রাখলেন পাক কিংবদন্তি

গেল বছর থেকেই বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ড (বিসিবি) কেন্দ্রীয় চুক্তির আগে ক্রিকেটারদের কাছ থেকে তাদের খেলতে চাওয়া ফরম্যাট সম্পর্কে জেনে নিচ্ছে। যে ধারাবাহিকতায় তামিম ইকবাল নিজেকে টি-টোয়েন্টি ফরম্যাট থেকে সরিয়ে রাখে। এর বাইরে এই সুবিধা নিয়েছেন পেস তারকা মোস্তাফিজ।

বায়োবাবল শিথিল হওয়ার পরও মোস্তাফিজের টেস্টে না ফেরায় তাকে নিয়ে সংবাদ মাধ্যমের পাশাপাশি বোর্ড কর্তাদের মাঝেও আলোচনা চলছেই। শনিবার (৭ মে) মিরপুরে খালেদ মাহমুদ সুজন এ প্রসঙ্গে সাংবাদিকদের বলেছেন, কেন্দ্রীয় চুক্তির আগে ফরম্যাট বাছাইয়ের সুবিধা ছিল কেবল সাকিব, তামিম, মুশফিকদের মতো অভিজ্ঞ ও সিনিয়রদের জন্য।

সুজন বলেন, ‘পাপন ভাই বলেছে তিন মাস আগে খেলোয়াড়রা যেটা চায় ওটা আলাপ করছে। এটা কিন্তু সিনিয়র ক্রিকেটারদের খাতিরে বলেছে। সবার ক্ষেত্রে না। এখন জয় যদি বলে আমি ওয়ানডে খেলবো টেস্ট খেলবো না এটা কি ঠিক হলো নাকি? মোস্তাফিজের আসলে বয়স কত? কয়দিন ধরে খেলে? মোস্তাফিজ তো সাকিব, তামিম কিংবা মাশরাফি, মুশফিক না।’

‘তারা বাংলাদেশকে তিন ফরম্যাটে এত বছর ধরে সার্ভিস দিয়েছে। দেশের জন্য খেলাটা গুরুত্বপূর্ণ। আর টেস্ট ক্রিকেটের মতো বুনিয়াদি ফরম্যাট তো আর কিছু নাই। হয়তো আপনি বলবেন আলোর ঝলকানি, টাকা পয়সা সেটা সাদা বলের ক্রিকেটে বেশি। কিন্তু লাল বলের ক্রিকেট তো একটা বুনিয়াদি খেলা। মোস্তাফিজ কেন খেলতে চায় না আমি জানি না। আমার মতে বোর্ডের সঙ্গে শেয়ার করা উচিত।’ যুক্ত করেন বিসিবির এই টিম ডিরেক্টর।

তিনি বলেন, ‘আমরা জানি সাকিবের ব্রেক দরকার। সাকিবের বয়স ৩৫, তামিমদের ৩৪-৩৫। ওদের তো একটা ব্রেক দরকার। তাদের এটা প্রাপ্য। লিটন দাস তো এটা ডিজার্ভ করে না। লিটন দাস যদি সাকিব, তামিম হতো তাহলে আমি বলতাম লিটন দাসও ডিজার্ভ করে। মোস্তাফিজ এখন ২৬-২৭ বছর বয়সী। আমাদের ক্রিকেটের ভাষায় একটা ছেলের এটা পিক টাইম।’

মোস্তাফিজের টেস্ট খেলা প্রসঙ্গে সুজন বলেন, ‘মানে হাড্ডি-মাড্ডি (হাড়) ভাঙবে না, ঝুঁকি কম। সুতরাং আমি মোস্তাফিজকে বলতে পারি তুমি বাংলাদেশের সব টেস্ট ম্যাচ খেলো। মোস্তাফিজের অন্তত ৬-৮ বা ১০ টা টেস্ট খেলা উচিত। সেটা করলে আমরা রোটেট করতে পারবো।’

তাসকিন, শরিফুলদের শরীরের উপর থেকে ধকল কমাতে হলে মোস্তাফিজের টেস্ট খেলা উচিত উল্লেখ করে জাতীয় দলের সাবেক এই অধিনায়ক বলেন, ‘আমিতো চাই মোস্তাফিজ টেস্ট ম্যাচ খেলুক, কেন নয়? আমাদের তো এত বোলার নাই। আপনি যদি হাতে গুনেন এবাদত, তাসকিন, শরিফুল, খালেদ খেলল গত সিরিজটা, রাহী… এরপর আপনার বোলার কই? এরপর তো বাংলাদেশের সেরা ফাস্ট বোলার মোস্তাফিজই। অভিজ্ঞতা বলেন, তার নৈপুণ্য বলেন তার টেকনিক্যাল বা ট্যাকটিক্যাল দিক বলুন মোস্তাফিজ সেরা। 

বাংলাদেশ দলের টিম ডিরেক্টর আরও বলেন, ‘আমি মনে করি মোস্তাফিজের এই জন্যই টেস্ট খেলা উচিত…দেখেন আজকে তাসকিন ইনজুরিতে, আমাদের মূল একজন বোলার। সে জায়গায় যদি মোস্তাফিজ থাকতো তাহলে আমাদের একজন অভিজ্ঞ বোলার থাকতো। ব্যালেন্স ঠিক থাকে। তাসকিন-শরিফুল দুজন এমন প্লেয়ার ইনজুরি প্রবণ, তাড়াতাড়ি ইনজুরিতে পড়তে পারে। সেক্ষত্রে আমাদের তো মোস্তাফিজ থাকলে আমরা ঘুরিয়ে ফিরিয়ে…।’ 

সুজন বলেন, ‘তিন ফরম্যাট খেলা (সমানতালে) এখন কঠিন, কারণ এতো বেশি খেলা। এখানে সবারই বিরতি প্রয়োজন। তাসকিনের যেমন ব্রেক দরকার, শরিফুলের ব্রেক দরকার। এবাদত যেহেতু একটা ফরম্যাট খেলে, আমরা ধরে নিলাম সে টেস্টে নিয়মিত থাকবে, খালেদেরও একই কারণ সেও অন্য ফরম্যাট খেলে না। মোস্তাফিজকে এ ক্ষেত্রে সাহায্য করার জন্য হলেও খেলা উচিত। যখন মোস্তাফিজের মানের খেলোয়াড় তৈরি হয়ে যাবে তখন হয়তো মোস্তাফিজকে আমাদের প্রয়োজন হবে না।’

আরও পড়ুন

×