দেশের বন্যা পরিস্থিতির আরও অবনতি হতে পারে
প্রকাশিত :
২১ জুন ২০২৩, ৭:৫১:১১
আপডেট :
২১ সেপ্টেম্বর ২০২৩, ১:৫০:১৭
আগামী ২৪ ঘণ্টায় দেশের উত্তর-পূর্বাঞ্চলের সিলেট, সুনামগঞ্জ ও নেত্রকোণা জেলার বন্যা পরিস্থিতির আরও অবনতি হতে পারে।
একই সময়ে লালমনিরহাট, নীলফামারী, রংপুর, কুড়িগ্রাম, গাইবান্ধা, বগুড়া, সিরাজগঞ্জ, জামালপুর জেলার বন্যা পরিস্থিতির অবনতির পাশাপাশি টাঙ্গাইল, মুন্সিগঞ্জ ও শরীয়তপুর জেলার নিম্নাঞ্চলেও বন্যা হতে পারে।
এছাড়া, বন্যা পরিস্থিতির সৃষ্টি হতে পরে টাঙ্গাইল, মুন্সীগঞ্জ, শরীয়তপুর জেলার নিম্নাঞ্চলে।
পরবর্তী ২৪ ঘণ্টার আবহাওয়ার পূর্বাভাসে এ কথা জানানো হয়েছে। টানা ভারি বর্ষণ ও উজানের ঢলে দেশের অন্তত ১২ জেলার ৭০ উপজেলা বন্যায় প্লাবিত হয়েছে। নয়টি নদীর ১৮টি পয়েন্টে পানি বিপৎসীমার উপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে।
পানি উন্নয়ন বোর্ডের হিসেবে রবিবার বিকেল ৩ টায় নদ-নদীর ১০৯টি পর্যবেক্ষণ পয়েন্টের মধ্যে ১৮টি পয়েন্টে পানি বিপৎসীমার উপর দিয়ে বইছিল।
এর মধ্যে কানাইঘাট পয়েন্টে সুরমা নদী বিপৎসীমার ১৪৩ সেন্টিমিটার, সিলেট পয়েন্টে ৬০ সেন্টিমিটার এবং সুনামগঞ্জ পয়েন্টে ৫০ সেন্টিমিটার উপর দিয়ে বইছিল।
কুশিয়ারা নদী অমলশিদ পয়েন্টে বিপৎসীমার ১৭২ সেন্টিমিটার, শেওলা পয়েন্টে ৬৩ সেন্টিমিটার উপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছিল। খোয়াই নদী বল্লায় বিপৎসীমার ২০ সেন্টিমিটার এবং সোমেশ্বরী নেত্রকোণার কলমাকান্দা পয়েন্টে ১১২ সেন্টিমিটার উপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছিল।
যমুনা নদীর পাঁচটি পয়েন্টে পানি বিপৎসীমার উপর দিয়ে বইছে। এর মধ্যে ফুলছড়িতে ২৯, বাহাদুরাবাদ ২৪ সেন্টিমিটার, সারিকান্দি ২৮ সেন্টিমিটার, সিরাজগঞ্জের কাজীপুরে ২৩ সেন্টিমিটার ও সিরাজগঞ্জ পয়েন্টে ১৩ সেন্টিমিটার উপরে ছিল রোববার বিকালে।
ব্রহ্মপুত্র তিনটি পয়েন্টে বিপৎসীমার উপরে। এর মধ্যে নুনখাওয়া পয়েন্টে ১৩, হাতিয়ায় ৮৬ এবং চিলমারীতে ৩৪ সেন্টিমিটার উপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে।
এ ছাড়া পানি দুধকুমার নদী পটেশ্বরী পয়েন্টে ১৩ সেন্টিমিটার, ধরলা কুড়িগ্রাম পয়েন্টে ২৮ সেন্টিমিটার, তিস্তা ডালিয়া পয়েন্টে ৭ সেন্টিমিটার এবং ঘাঘট নদী গাইবান্ধা পয়েন্টে ১৫ সেন্টিমিটার উপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে।