প্রকাশিত : ১৫ এপ্রিল ২০২৫, ১১:২০:৫৯
অবসরপ্রাপ্ত সেনা কর্মকর্তাদের সংগঠন রাওয়ার আয়োজনে ‘দেশ সংস্কার– রাজনৈতিক প্রভাবমুক্ত সশস্ত্র বাহিনী’ কীভাবে সম্ভব—এ বিষয়ে একটি আলোচনা সভা হয়ে গেল ১২ এপ্রিল। সেখানে দুজন বিশিষ্ট ব্যক্তির চিন্তা ও মতামত বিশেষভাবে তাৎপর্যপূর্ণ বলে মনে হয়েছে। তাদের একজন একটি জাতীয় দৈনিকের সম্পাদক। আরেকজন আমাদের সাবেক সহকর্মী।
দুজনই প্রাঞ্জল ভাষায় তাদের নিজস্ব ঢংয়ে কথা বলেছেন— যা উপস্থিত শ্রোতাদের আকৃষ্ট করেছে। তবে আলোচনার শেষাংশে তারা কিছু সুপারিশ করেছেন— যা কাঙ্ক্ষিত সংস্কারকে আমলাতান্ত্রিক জটিলতায় ফেলে পুরো সংস্কার প্রক্রিয়াকে অহেতুক দীর্ঘায়িত করতে পারে বলে আমার মনে হয়েছে।
বাংলাদেশের প্রেক্ষাপটে যে কোনো পরিবর্তন অতি দ্রুত করা আবশ্যক। কারণ দেরি করলেই ওইসব অপরিহার্য পরিবর্তনগুলো আলোর মুখ দেখার সম্ভাবনা ক্ষীণ হয়ে আসতে থাকে। তাই আমলাতান্ত্রিক জটিলতা এড়িয়ে নিজেদেরকে যথাযথ সংশোধন করে দ্রুত সঠিক পথে পরিচালিত করতে হলে সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারা কিছু বিষয় বিবেচনায় নিতে পারেন।
সংস্কার ঘোষণা দিয়ে করতে হবে এমন বাধ্যবাধকতা নেই। সংস্কারের জন্য যা দরকার, তার তালিকা করে ফেলতে পারলেই খুবই দ্রুত তা করা সম্ভব।
সামরিক বাহিনীর ভেতরে সংস্কারের অনেক উদাহরণ আছে। কারণ এই বাহিনী জানে কীভাবে নিজের ঘর পরিষ্কার করতে হয়। সেটুকু করলেই প্রাথমিক কাজ হয়ে যায়। অতীতে আমরা দেখেছি নিজেদের অভিযানিক বা প্রশাসনিক ভুলত্রুটি কেসস্টাডি হিসেবে আমাদের প্রতিটি প্রতিষ্ঠানে, এমনকি কোনো কোনো ক্ষেত্রে সকল কর্মকর্তাকে দেওয়া হতো।