মালয়েশিয়া হাইকমিশনের টুর্নামেন্টে শিক্ষার্থীদের ওপর কর্মচারীর হামলা!
রক্ত হাতে রাষ্ট্রদূত শামীম আহসানের আগমন
প্রকাশিত :
২২ অক্টোবর ২০২৩, ২:১৬:১৯
আপডেট :
২২ অক্টোবর ২০২৩, ৭:১৬:১৪
শেখ রাসেলের ৬০তম জন্মদিন উপলক্ষে কুয়ালালামপুরস্থ বাংলাদেশ হাইকমিশন আয়োজিত বিভিন্ন কর্মসূচির অংশ হিসেবে ফুটবল টুর্নামেন্ট অনুষ্ঠিত হয়েছে। উক্ত টুর্নামেন্টে অংশ নিতে এসে হামলার শিকার হয়েছে শিক্ষার্থীরা। এসময় চেয়ারের আঘাতে এক শিক্ষার্থী গুরুতর আহত হয়।
টুর্নামেন্টের প্রথম দিন হাইকমিশনের দলের সাথে ইসলামি ইউনিভার্সিটির খেলোয়াড়রা খেলা চলাকালীন তর্কে জড়িয়ে পড়ে। এই তর্কের এক ফাঁকে পাসপোর্ট কাউন্সিলরের ড্রাইভার রাশেদ চেয়ার দিয়ে ইসলামি ইউনিভার্সিটির জোবায়ের নামে এক ছাত্রর মাথা ফাটিয়ে দেয়। এছাড়াও আরও বেশ কয়েকজন শিক্ষার্থীকেও হেনস্থা করে হাইকমিশনের কর্মচারীরা। এরপর পুলিশ এ ঘটনায় পাসপোর্ট কাউন্সিলরের ড্রাইভার রাশেদকে গ্রেপ্তার করেন। যদিও হাইকমিশনে শিক্ষার্থীদের ম্যানেজ করে তাদের ড্রাইভারকে ছাড়িয়ে নিয়ে যায়।
এ ঘটনার কোন সংবাদ প্রকাশ করেনি মালয়েশিয়ায় অবস্থানরত বাংলাদেশি সাংবাদিকরা। যদিও তাদের সংবাদ প্রকাশ না করার বিষয়ে অনুসন্ধান করতে গিয়ে জানা যায়, দেশের গণমাধ্যমে যেসকল সাংবাদিক কুয়ালালামপুরে কাজ করে তাদের বেশিরভাগই হাইকমিশনের সুবিধাভোগী। হাইকমিশনের সাথে মিলে বিভিন্ন অপকর্মে লিপ্ত রয়েছে এমন বেশ কয়েকজন সাংবাদিকেরও নাম উঠে আসা এ ঘটনায়। এছাড়াও হাইকমিশনের প্রেস সেক্রেটারি নানাভাবে এই সংবাদ চেপে যাওয়ার জন্য কাজ করছেন।
এই ঘটনায় সবচেয়ে আলোচিত বিষয় ছিল, নতুন হাইকমিশনার মো: শামীম আহসান এর এটি এখানে প্রথম অনুষ্ঠান। প্রচন্ড অযোগ্য রাষ্ট্রদূত শামীম এর আগে ইতালিতে বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূত ছিলেন। তার সময় ইতালির প্রবাসী বাংলাদেশিরা খুবই খারাপ সময় পাড় করেছে। এমনকি এই শামীমের সময়ে তার চরম দূর্নীতির কারণে সাধারণ প্রবাসী বাংলাদেশিরা দূতাবাস অবরোধ ও ভাংচুর করে। এরপর ইতালি সরকার বাধ্য হয় এই অযোগ্য এবং দুর্নীতিবাজ রাষ্ট্রদূতকে রক্ষায় সেনাবাহিনী বাহিনী মোতায়েন করতে। এ ঘটনা ছাড়াও বিভিন্ন সময় রোম তার কর্মকাণ্ডের জন্য বিশৃংখলা হয়েছে এবং দেশের ভাবমূর্তী নষ্ট হয়েছে। আর সেখান থেকে মালয়শিয়াতে আসার পরপরই বাংলাদেশের শিক্ষার্থীর রক্ত ঝরলো।