প্রকাশিত : ২০ জুন ২০২৩, ১০:৪৩:৪৯
মোঃ তারেক রহমান সময়টা ২০১৮ এর ডিসেম্বর, পুরো জাতি ছিল আতংকিত আর রাজনৈতিক সংকটে। একটা কিছু বললেই বা লিখলেই সবাই ভয় দেখাত আমায়। সেটা পরিবার বলেন আর সংগঠন হতেই বলেন, ভালো ভয়ই দেখাত সবাই।আমাদের সংগঠন ছাত্রদের অধিকার ভিত্তিক হলেও নির্বাচনের সে সময়ই ভিপি নুরের সাহসী অবস্থান সংগঠনের গায়ে রাজনৈতিক রঙ লাগায়। নিরাপদ বাংলাদেশ চাই একটি ভিডিও তৈরীর সময় আমরা যখন আড্ডা দিচ্ছিলাম, তখন কেবল আন্দোলনে সফলতার অংশ হিসাবে পরিপত্র হাতে পেয়েছি আমরা। ভিপিকে বললাম দেশের এই সংকটে আমাদের অবদান কি হবে। ভিপি বললেন, “চুপ থাকলে দেশের সাথে বেইমানি করা হবে। মানুষ ঘৃণা করবে। “২০১৮ সালের নির্বাচনের সময় আমার রাজনৈতিক ওজন দেঢ় ছটাক বলতে পারেন, কিন্তু এই দেঢ় ছটাক ওজন নিয়েই দেশের জন্য কিছু করার চেষ্টা করেছিলাম, কেন্দ্রীয় পর্যায়ে আমার সাথে থাকা জসীম, মোল্লা আর আহম্মেদ কবির এর ভাল সাক্ষী দিতে পারবেন, কারন তারাও সেই সংকটের সহযোদ্ধা ছিলেন। আর ভিপিকে অন্যদের টপকিয়ে সংগঠনের উচ্চাসনে নিয়ে গেছে সে সময়ের কিছু সাহসী উদ্যোগই। কিন্তু এই সময় সাইবার ইউনিট এর এডিসির নাজমুল এর সহযোগিতায় আমাদের বিপদে ফেলে বার বার। সংগঠন এর প্রতিটা তথ্য চলে যেত এডিসি নাজমুলের কাছে, আমাদের ফেসবুক পোস্ট গুলোতেও সরাসরি কমেন্ট করত।যদিও কাছের মানুষ গুলই ভিপিকে সাইড করে বিপদে ফেলার চেষ্টা করেছিল, কিন্তু একটা ভাল লাগার অনুভূতি আছে যে সে সময় ভিপির পাশে আমরা কজন শক্ত হয়ে দাঁড়িয়েছিলাম। আশ্চার্য হবেন যে, ভিপি কখনই প্রতিশোধ পরায়ন হন নাই যারা তার ক্ষতি করতে চেয়েছে বা তার বিরুদ্ধে ষঢ়যন্ত্র করেছে। সংগঠমের ভিতরে তার বিরুদ্ধাচারণ করা ব্যাক্তিকেও আগলে রেখেছেন তিনি। সেটা না হলে আজকের সংগঠনের এই বিশাল রুপ আপনারা দেখতে পারতেন না।আমি খুব করে দেখেছি, যখন সবাই কোন ইস্যুতে কথা বলতে ভয় পেয়েছে, তখন ভিপিই স্রোতের বিপরীতে গিয়ে দৃঢ়ভাবে দাঁড়িয়ে প্রতিবাদ করেছে। এটা মাঝে মাঝে মিরাকেল মনে হয়েছে আমার।বগুড়ায় হামলার শিকার হবার পর, পুরো সংগঠন আতঙ্কে ছিল যে ক্যাম্পাসে গেলে আবার হামলার শিকার হব। সে সময় ভিপি বললেন তারেক ভাই ক্যাম্পাসে যাব সংবাদ সম্মেলন করব। সে সময়ে অধিকাংশই বলল ক্যাম্পাসে গেলে আবার হামলার শিকার হবেন। কিন্তু ভিপি বললেন ক্যাম্পাসেই যদি না যেতে পারি রাজনীতি করে কি হবে।কথা ছিল ডাকসুর ২য় তলায় সংবাদ সম্মেলন করবেন, আমি আমার টিম নিয়ে আগে হতেই ডাকসু প্রাঙ্গনে অবস্থান নিয়েছি। মধুর ক্যান্টিনে ছাত্রলীগ অস্ত্রসহ অবস্থান নিয়েছে কিছু সাংবাদিক ভাই বললেন। ডাকসুতে যাব এটা আমি নিশ্চিত।কিন্তু ভিপি উবার গাড়ি হতে নেমে খূঁড়িয়ে হাঁটতেই দৌড়ে কাছে গেলাম। ভিপির কথায় কলিজা শুকায়ে যাবার উপক্রম হলো আমার। অন্য অনেক কেন্দ্রীয় নেতারা তখনো আসেন নাই আতঙ্কে।ভিপি বললেন মধুর ভিতরে সংবাদ সম্মেলন করব। আমি বললাম ছাত্রলীগের নেতা কর্মীরা মধুর ভিতরে অবস্থান নিয়েছে। তিনি আমাকে বললেন ভয় পাচ্ছেন?এই বলে খুঁড়িয়ে হাঁটা শুরু করলেন মধুর দিকে। সাথে হাঁটছি আমরা কজন। মধুর ক্যান্টিনে ঢুকলাম, সাংবাদিকরা ঘিরে ফেলল।এমন অনেক ভয়ংকর সাহসিকতার গল্প আছে, যা ভিপিকে আর সকল নেতা হতে উচ্চতর জায়গায় তুলে এনেছে।কতটুকু সৌভাগ্য হলে এমন একজন সহযোদ্ধা মিলে আমার মত একজন বিপ্লবীর জীবনে। রক্তের সম্পর্ক না হলেও ভিপি নুর একজন ভাই, একজন বন্ধু, একজন সহকর্মী। এটা শুধু আমার সৌভাগ্য নয়, এটা ছাত্র অধিকার পরিষদের সৌভাগ্য, যুব অধিকার পরিষদের সৌভাগ্য, প্রবাসী অধিকার পরিষদের সৌভাগ্য, শ্রমিক অধিকার পরিষদের সৌভাগ্য, পেশাজীবী অধিকার পরিষদের সৌভাগ্য যে নুরুলহক নুরের মত একজন নেতৃত্বের ছায়ায় তারা সংঘবদ্ধ হতে পেরেছে। আলো ছড়াচ্ছে তার নেতৃত্বে সব কয়েকটি সংগঠন।নুরুল হক শব্দের অর্থ বিশ্লেষণ করলে দেখা যায়, নুর অর্থ আলো, হক অর্থ সত্য। নুরুলহক শব্দের অর্থ দাঁড়ায় সত্যের আলো।আমার গর্ব, আমাদের একজন ভিপি নুর আছে।অথচ এই গর্বের বিরুদ্ধে মোটে ৪ বার ষঢ়যন্ত্র হয়েছে খুব কাছের লোকদের দ্বারা, সাম্প্রতিক যে ষঢ়যন্ত্র আমরা দেখছি কমল বড়ুয়া নামেয়, তা আগের ষঢ়যন্ত্র যারা করেছিল সেই একই ব্যাক্তি।