নিখোঁজের তিনদিন পর মেঘনা নদীতে মিললো মাঝির লাশ

নিহত ফাহিম লাদেন উপজেলার শ্রীনগর ইউনিয়নের আব্দুল্লাহ্চর এলাকার আওলাদ হোসেন এর ছেলে।সে পেশায় একজন নৌকার মাঝি।

নিহতের চাচতো ভাই বেলায়েত হোসেন জানান, গত রোববার মাঝি ফাহিমকে অজ্ঞাত এক ব্যক্তি ফোনে শ্রীনগরের বাঘাইকান্দি এলাকার মেঘনা পাড়ে ডেকে নেয়। ওইদিন থেকেই নিখোঁজ হয় সে। পরে শ্রীনগরের বাঘাইকান্দি ঘাটে তার নৌকা ও পড়নের একটি প্যান্ট পাওয়া যায়। সেখানে তার নৌকায় একটি চাপাতিও পাওয়া যায়। তারপর থেকে সম্ভাব্য সব জায়গায় খোঁজ করেও ফাহিমের সন্ধান না পাওয়ায় গত সোমবার  রায়পুরা থানায় একটি সাধারণ ডায়েরি করেন তার পরিবার।

পরে বুধবার সকালে উপজেলা আমিরাবাদ এলাকার মেঘনায় একটি অজ্ঞাত মরদেহ ভাসতে দেখে স্থানীয়রা পুলিশকে খবর দেন। বিকেলে রায়পুরা থানার অফিসার ইনচার্জ মো. আজিজুর রহমান ও ইন্সপেক্টর তদন্ত গোবিন্দ সরকার উপস্থিত হয়ে রায়পুরা থানা পুলিশ ও নৌ-পুলিশের যৌথ প্রচেষ্টায় নদী থেকে মরদেহটি উদ্ধার করে। পরে খবর পেয়ে সেখানে গিয়ে স্বজনরা ফাহিমের মরদেহ শনাক্ত করেন। ঘটনাস্থলে প্রাথমিক সুরতহাল শেষ মরদেহ নরসিংদী সদর হাসপাতাল মর্গে পাঠায়।

মির্জারচর নৌ-পুলিশ ফাড়িঁর ইনচার্জ (এসআই) প্রদ্যুৎ সরকার জানান, নিলক্ষ্যার আমিরাবাদ এলাকায় নদীতে একটি মরদেহ ভাসছে সংবাদ পেয়ে আমরা ঘটনাস্থলে এসে তার মরদেহ উদ্ধার করি। প্রথমে তার পরিচয় না পাওয়া গেলেও পরে তার স্বজনরা এসে মৃতের পরিচয় শনাক্ত করে। তার মাথায় একটি কোপের আঘাত দেখা গেছে। বর্তমানে মরদেহ ময়নাতদন্তের জন্য নরসিংদী সদর হাসপাতালের মর্গে পাঠানো হয়েছে। ময়নাতদন্তের রিপোর্ট পেলে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেয়া হবে বলে জানান তিনি।