ঢাকা মঙ্গলবার, ২২ অক্টোবর ২০২৪

জায়েদ খানকে ‘অলরাউন্ডার’ বললেন ডিপজল-মৌসুমী (ভিডিও)

বিনোদন ডেস্ক

প্রকাশ: ০৫ মে ২০২২ | ১৪:৫৩ | আপডেট: ০৫ মে ২০২২ | ১৪:৫৫

সংবাদভিত্তিক স্যাটেলাইট টেলিভিশন ‘চ্যানেল 24’ প্রতি ঈদে দর্শকদের জন্য ব্যতিক্রমী অনুষ্ঠানের পসরা সাজায়। এবারও ঈদকে ঘিরে পাঁচ দিনের আয়োজন সাজিয়েছে চ্যানেলটি। সেই ধারাবাহিকতায় ঈদের তৃতীয় দিন শাহরিন জেবিনের সঞ্চালনায় ঈদ স্পেশাল এন্টারটেইনমেন্ট অনুষ্ঠানে হাজির হয়ে নিজেদের বিষয়ে কথা বলেন অভিনেতা ডিপজল, অভিনেত্রী মৌসুমী ও অভিনেতা জায়েদ খান।

অনুষ্ঠানের শুরুতে ডিপজল ও মৌসুমীর কাছে জানতে চাওয়া হয়— জায়েদ খানের নামের আগে কি বলা যেতে পারে। জবাবে তারা দু’জনই বলেন,  ওকে (জায়েদ খান) অলরাউন্ডার বলা যায়।

এরপর ছোট বেলার ঈদ প্রসঙ্গে ডিপজল বলেন, ছোট বেলায় ঈদে জামা-কাপড় কিনতাম। কখন কিনব এ নিয়ে আগ্রহ থাকতো। তবে সব সময় আমাকে আগেই কিনে দেয়া হতো। আমি একটু দুষ্ট ছিলাম, কিনে না দিলে বাসায় একটু ডিস্টার্ব হতো। এ কারণে আগেই কিনে দেয়া হতো আমায়। তবে এখন শান্ত আমি।

অভিনেত্রী মৌসুমী বলেন, আমাদের বাড়িতে নিয়ম ছিল আগে যাকাত দেয়া হবে, তারপর ঈদের কেনাকাটা। কিন্তু সেই পর্যন্ত ধৈর্য হতো না আমার। কখনো যদি ১০ রোজার মধ্যে যাকাত দেয়া না হতো, তা যদি ১৫ রোজা পর্যন্ত যেত তাহলে আমাদের কেনাকাটাও তার আগে হতো না। তখন আমাদের কান্নাকাটি শুরু হতো। কারণ সবাই ঈদের কেনাকাটা করছে কিন্তু আমাদের হচ্ছে না।

অভিনেতা জায়েদ খান বলেন, আমি গ্রামে বড় হয়েছি। ঢাকা শহর আমার কাছে স্বপ্নের মতো। ঢাকায় দাঁড়িয়ে দাঁড়িয়ে বিল্ডিং গুনতাম, জায়গা দেখতাম। একবার ঈদের আগের রাতে রওনা দিলাম; সকালে গিয়ে নামব ও নামাজ পড়ব। সকালে ঘুম থেকে উঠে দেখি নদীর চরের মধ্যে লঞ্চ ভেসে আছে। যাচ্ছে না, আটকে গেছে। দেখি সবাই নামাজ পড়তে যাচ্ছে, আর আমি আটকে আছি নদীর মধ্যে। প্যান্ট আর জুতা নিয়ে একা একা কাঁদতেছি আমি। পরে যখন জোয়ার আসলো, লঞ্চ ছাড়লো তখন সন্ধ্যা। ঈদই শেষ হয়ে গেল।

এই অভিনেতা বিয়ের বিষয়ে বলেন, এখন যেহেতু মা-বাবা নেই। আর সত্যি কথা, আমি আমার পছন্দে বিয়ে করব। পছন্দও আছে। ঈদের আমেজ যাক, তারপর ভাইয়া (ডিপজল) আছে, এ নিয়ে আলোচনা করব।

বিয়ের প্রসঙ্গ উঠতেই ডিপজলের বিয়ে নিয়ে আলোচনা শুরু হয়। তখন তিনি বলেন, আমি তুলে নিয়ে আসিনি। আপোষেই আসছে। তবে এ নিয়ে বেশি কিছু জানাননি পর্দার খল-নায়ক।

✪ আরও পড়ুন: অর্জুনের সঙ্গে বিয়ের পরিকল্পনার কথা জানালেন মালাইকা অরোরা

মৌসুমী ঈদের স্মৃতিচারণ করতে গিয়ে বলেন, আমার প্রথম সিনেমা ‘কেয়ামত থেকে কেয়ামত’। এটার কথা কথা মনে পড়ে। প্রথম শো আনন্দ সিনেমা হলে দেখতে গিয়েছিলাম। সেখানে হলে ঢোকার পর যা ঘটতেছিল তা আমার কাছে খুবই গুরুত্বপূর্ণ ছিল। সেই অনুভূতিগুলো আমি নিতে পেরেছিলাম বলেই হয়তো সিনেমার প্রতি এত অনুরাগ-ভালোবাসা জন্মেছিল আমার।

চাঁদরাতের স্মৃতিচারণ করতে গিয়ে ডিপজল বলেন, আমার নিজ হাতে মানুষকে লুঙ্গী-কাপড় দিতে ভালো লাগে। আমি অনেক দিয়েছি। বিপরীতে জায়েদ খান বলেন, আমি তো গ্রামে বড় হয়েছি। আমরা যা করতাম, চাঁদ রাতে বাজি ফুটাতাম, মানুষের গাছ থেকে ডাব চুরি করে দড়ি দিয়ে তা পেরে নিয়ে আসা। আব্বার সঙ্গে বাজারে যাওয়া, ব্যাগ নিয়ে চাল-সেমাই কেনা। এই জিনিসগুলো আমার কাছে খুবই স্মৃতির।

ডিপজল-মৌসুমী-জায়েদ খান ক্যারিয়ার ও ব্যক্তিগত জীবনের নানা সুখ-দুঃখের স্মৃতিচারণও করেন অনুষ্ঠানে।

সম্পর্কিত

আরও পড়ুন

×