‘ঈদের জন্য হলেও আমার বাবাকে ছেড়ে দিন’ মেয়ের আর্তি (ভিডিও)
ভিডিও থেকে নেয়া ছবি
আন্তর্জাতিক ডেস্ক
প্রকাশ: ০২ মে ২০২২ | ১৪:৩৭ | আপডেট: ০২ মে ২০২২ | ১৪:৪৭
চীনের উইঘুর সম্প্রদায়ের মুসলিম স্কলার ইয়ালকুন রোজির পরিবার এভাবেই বছরের পর বছর ঈদ পালন করে আসছে। এবারের ঈদটি তাই পরিবারের সঙ্গে করতে দেয়ার অনুরোধ জানিয়ে কাতর আর্তি জানিয়েছে রোজির মেয়ে তুমারিস ইয়ালকুন। দ্য নিউ আরব
সোশ্যাল মিডিয়ায় শেয়ার করা একটি আবেগঘন আবেদনে ঈদুল ফিতরের জন্য বাবাকে মুক্তি দেয়ার জন্য চীনকে আহ্বান জানিয়েছেন তিনি। টুইটারে এক ভিডিও বার্তায় তুমারিস তার বাবা ইয়ালকুন রোজিকে ‘অবিলম্বে’ মুক্তি দেয়ার জন্য অনুরোধ করেছেন।
তিনি ছয় বছর আগে চীনা কর্তৃপক্ষের দ্বারা বেআইনিভাবে গ্রেপ্তার এবং বন্দী হয়েছিলেন। ২০১৬ সাল থেকে বন্দী উইঘুর বুদ্ধিজীবীদের মধ্যে অন্যতম এই ইয়ালকুন রোজি ছিলেন একজন সাহিত্য সমালোচক এবং লেখক।
চীন বেশ আগে থেকেই দেশটির উইঘুর মুসলিম সম্প্রদায়ের ওপর নিপীড়ন চালিয়ে আসছে। গণগ্রেপ্তার, বেআইনিভাবে কারাদণ্ড এমনকি ‘শিক্ষা’ কেন্দ্রের নামে উইঘুর সংস্কৃতি নিশ্চিহ্নে লিপ্ত রয়েছে দেশটি।
তুমারিস ইয়ালকুন তার ভিডিওতে কান্নাজড়িত কণ্ঠে বলেন, ‘কনেসেন্ট্রেশন ক্যাম্প কিংবা জেলের অন্ধকার প্রকোষ্ঠে কঠোর নির্মমতায় বন্দী করে রাখা হয়েছে উইঘুর মুসলিমদের।’
‘বছরের পর বছর ধরে তারা ঈদেও পরিবার তো দূরে থাক অন্য কারো দেখা পান না। এটা ভাবতেই কষ্টে বুক ভেঙে যায় যে, কেবল উইঘুর হয়ে জন্ম নেয়ার দায়েই এই নির্মমতার শিকার হচ্ছেন মানুষগুলো।’
১০ বছর ধরে, রোজি এবং তার দল যে বইগুলো নিয়ে কাজ করেছিল সেগুলো জিনজিয়াং শিক্ষা মন্ত্রণালয় পর্যালোচনার পর অনুমোদন দিয়ে আসছিল। কিন্তু হঠাৎ করেই ২০১৬ সালে তাকে গ্রেপ্তার করা হয়। এরপর ২০১৮ সালে রোজিকে ১৫ বছরের কারাদণ্ড দেয়া হয় এবং তখন থেকেই জিনজিয়াং অঞ্চলের রাজধানী উরুমকিতে বন্দী হয়ে আছেন তিনি।
Eid Mubarak! We are welcoming another year of Eid without the presence of our father by our side. So many of our parents, brothers, sisters and children are suffering under the Chinese regime. pic.twitter.com/0kXtXpYAOM
— Tumaris Yalqun (@YTumaris) May 2, 2022