ঢাকা মঙ্গলবার, ২২ অক্টোবর ২০২৪

১১ বছর ধরে যে গ্রামে বন্ধ ঈদগাহে নামাজ আদায়

১১ বছর ধরে যে গ্রামে বন্ধ ঈদগাহে নামাজ আদায়

১১ বছর ধরে যে গ্রামে বন্ধ ঈদগাহে নামাজ আদায়

সমকাল ডেস্ক

প্রকাশ: ০১ মে ২০২২ | ১৫:৫৬ | আপডেট: ০১ মে ২০২২ | ১৬:২১

স্থানীয় প্রশাসন ও এলাকাবাসী সূত্রে জানা যায়, ২০১২ সালে ভোজদত্ত ঈদগাহ মাঠের আধিপত্য নিয়ে টাঙ্গাইলের ঘাটাইল উপজেলার ভোজদত্তসহ আশেপাশের পাঁচটি গ্রাম ও পার্শ্ববর্তী কালিহাতী উপজেলার বীরবাসিন্দা গ্রামের বাসিন্দাদের মধ্যে বিরোধের সৃষ্টি হয়। বিরোধ নিরসনে দুই উপজেলার তখনকার উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার (ইউএনও) উপস্থিতিতে এক বৈঠক হয়।

ওই বৈঠক শেষে উভয়পক্ষের মধ্যে সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে। এতে গফুর নামে এক ব্যক্তি আহত হন। পরবর্তীতে ওই বছরের ২৬ নভেম্বর জেলা প্রশাসকের নির্দেশনায় স্থানীয় প্রশাসন ঈদুল আজহার দিন ভোজদত্ত ঈদগাহ মাঠের আশেপাশের এলাকায় ১৪৪ ধারা জারি করে। 

ওই বছরের ১ ডিসেম্বর আহত গফুর চিকিৎসাধীন থাকা অবস্থায় মারা যান। পরে এ বিষয়ে একটি হত্যা মামলা দায়ের হয়, যা বর্তমানে বিচারাধীন রয়েছে। মূলত ওই হত্যাকাণ্ডের পর দুই গ্রামের মানুষের মধ্যে বিরোধ আরও বেড়ে যায় এবং উত্তেজনার সৃষ্টি হয়। যে বিরোধ এখনো বিদ্যমান রয়েছে।

ওই ঘটনার পর থেকে আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতির অবনতির আশঙ্কায় গত ১১ বছর ধরে প্রতিবছরই দুই ঈদে ভোজদত্ত ঈদগাহ মাঠে জেলা প্রশাসকের নির্দেশনায় ১৪৪ ধারা জারি করে আসছে স্থানীয় উপজেলা প্রশাসন। এবারও একই অবস্থা বজায় রাখার নির্দেশনা চেয়ে চিঠি লিখেছে উপজেলা প্রশাসন। যার কারণে ঈদগাহ মাঠের আশেপাশের ৭ গ্রামের মানুষ এবারো ওই নামাজ আদায় করা থেকে বঞ্চিত হবেন।

বীরবাসিন্দা গ্রামের বাসিন্দা ডা. আবুল হোসেন বলেন, ‘ঐতিহ্যবাহী মাঠটি ১১ বছর ধরে পতিত রয়েছে। অনেকেই সমাধানের চেষ্টা করে ব্যর্থ হয়েছেন। আমরা বিষয়টির সমাধান এবং মাঠে ঈদের নামাজ আদায় করতে চাই।’

ভোজদত্ত গ্রামের ইউনুস আলী বলেন, ‘আমরা এই অচলাবস্থা দ্রুত নিরসন চাই।’

এ বিষয়ে ঘাটাইল উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মুনিয়া চৌধুরী বলেন, প্রতিবছরের মতো এবারও ঈদুল ফিতরের দিন ওই ঈদগাহ মাঠে আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি স্বাভাবিক রাখতে ১৪৪ ধারা জারির প্রস্তাবনা জেলা প্রশাসকের কাছে পাঠানো হয়েছে।

আরও পড়ুন: আলোচিত তেঁতুলতলা মাঠে সকাল ৮টায় ঈদের জামাত

সম্পর্কিত

আরও পড়ুন

×