চেলসির মালিকানা পেলেন মার্কিন ধনকুবের টড বোয়েলি
ফাইল ছবি
স্পোর্টস ডেস্ক
প্রকাশ: ০৭ মে ২০২২ | ০৫:৪৫ | আপডেট: ০৭ মে ২০২২ | ০৫:৫০
শনিবার (৭ মে) এক আনুষ্ঠানিক বিবৃতি দিয়ে চেলসি বিষয়টি নিশ্চিত করেছে।
আরও পড়ুন: রুমানাদের হারিয়ে দ্বিতীয় জয় পেলো জাহানারার ফ্যালকন
আমেরিকান বেসবল ক্লাব এলএ ডজার্সের মালিক বোয়েলি, মার্ক ওয়াল্টার, সুইস বিলিয়নিয়ার হান্সইয়োর্গ উইস এবং ক্লিয়ারলেক ক্যাপিটালের সম্মিলিত কনসোর্টিয়ামই এখন চেলসির নতুন মালিক।
Huge for Chelsea. A consortium led by Todd Boehly has signed a contract to buy Chelsea Football Club, per @Matt_Law_DT and @JacobSteinberg 🔵 #CFC
— Fabrizio Romano (@FabrizioRomano) May 6, 2022
The deal to end Abramovich’s ownership will go through "subject to Premier League and UK government approval". Work in progress.
শুক্রবারই বোয়েলির নেতৃত্বাধীন কনসোর্টিয়ামের প্রস্তাব আব্রামোভিচ গ্রহণ করেছেন বলে জানিয়েছিল ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম। তবে এরপর সরকারি অনুমোদন প্রয়োজন ছিল সেটা পেয়ে যাওয়ার পরই আনুষ্ঠানিকভাবে ক্লাবটির মালিকানা হস্তান্তর হয়েছে।
ইংলিশ ক্লাব চেলসি বিবৃতিতে জানিয়েছে, মোট বিনিয়োগ থেকে ২৬ হাজার ৬৬৫ কোটি টাকায় ক্লাবের শেয়ার কিনে নেবে বোয়েলির নেতৃত্বাধীন কনসোর্টিয়াম। সেই অর্থ পরবর্তীতে ফ্রিজ করে দেয়া একটি ব্যাংক অ্যাকাউন্টে জমা হবে। রোমান আব্রামোভিচের প্রতিশ্রুতি অনুযায়ী শতভাগ অর্থই পরে দান করে দেয়া হবে।
এছাড়াও ক্লাবে নতুন মালিকপক্ষ শুরুতেই ১৮ হাজার ৬৬৫ কোটি টাকা বিনিয়োগ করবে বলে বিবৃতিতে উল্লেখ করা হয়েছে। মে’র শেষাংশে ক্লাব বিক্রয়ের এই প্রক্রিয়া সমাপ্ত হবে।
২০০৩ সালে লন্ডনের ক্লাবটিকে কিনে রাশিয়ান ব্যবসায়ী রোমান আব্রামোভিচ। এরপর থেকেই শুরু হয়েছিল চেলসির উত্থানযাত্রা। আব্রামোভিচের সময়ই দলটি পরিণত হয়েছে ইউরোপের সেরা ক্লাবে। তবে রাজনৈতিক কারণে ক্লাবটিকে বিক্রি করে দিতে বাধ্য হয়েছেন তিনি।
Club Statement.
— Chelsea FC (@ChelseaFC) May 7, 2022
রোমান আব্রামোভিচের সময় চেলসি পাঁচটি প্রিমিয়ার লিগ এবং দুইটি চ্যাম্পিয়নস লিগ শিরোপা ঘরে তুলেছে। এছাড়াও দুইটি করে এফএ কাপ, ইউরোপা লিগ এবং সুপার কাপ জিতেছে। তিনবার স্ট্যামফোর্ড ব্রিজে এসেছে লিগ কাপের শিরোপা।
চলতি বছরের ফেব্রুয়ারিতে ইউক্রেন জুড়ে শুরু হয় রাশিয়ার আগ্রাসন। এই আগ্রাসনের কারণে রাশিয়ান মালিকাধীন চেলসির উপর আসতে আসতে একের পর এক নিষেধাজ্ঞা। এছাড়াও যুক্তরাজ্যজুড়ে নিষিদ্ধ করা হয় রাশিয়ান নাগরিকদের এবং বাজেয়াপ্ত করা হয় তাদের সম্পত্তি। মূলত এই কারণেই ক্লাবটিকে বিক্রি করতে বাধ্য হয়েছেন রোমান আব্রামোভিচ।