প্রধানমন্ত্রীর হাত ধরে শ্রমিকের মজুরি ৬ থকে ৮ গুণ বেড়েছে: তথ্যমন্ত্রী

ড. হাছান বলেন, ‘২০০৯ সালে আমরা সরকার গঠন করার আগে গার্মেন্টস শ্রমিকদের ন্যূনতম মজুরি ছিল ১ হাজার ৬৫০ টাকা। এখন সেটি ৮ হাজার টাকায় উন্নীত হয়েছে। পাটকল শ্রমিকদের ন্যূনতম মজুরি ছিল মাত্র ৯৬০ টাকা। এখন তা উন্নীত হয়েছে ৮ হাজার ৩শ’ টাকায়। বঙ্গবন্ধু কন্যা শেখ হাসিনার হাত ধরে এভাবে বিভিন্ন খাতে শ্রমিকদের মজুরি ৬ থেকে ৮ গুণ বৃদ্ধি পেয়েছে।’

তিনি বলেন, ‘একইসঙ্গে শ্রমিকদের চিকিৎসা, যাতায়াত, বাড়িভাড়া, গার্মেন্টস শ্রমিকদের দুপুরের টিফিনের ব্যবস্থা করাসহ বিভিন্ন ভাতা প্রধানমন্ত্রীর নেতৃত্বে আমাদের সরকার নিশ্চিত করেছে।’

মন্ত্রী বলেন, আজ পহেলা মে, শ্রমিকদের অধিকার প্রতিষ্ঠার দিন। বাংলাদেশে শ্রমিকদের অধিকার দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। শ্রমজীবী মানুষের জীবনমান উন্নত হয়েছে। ক্রয়ক্ষমতা বৃদ্ধি পেয়েছে। 

ড. হাছান বলেন, আশির দশকে স্লোগান হতো শ্রমিকের মজুরি হতে হবে সাড়ে তিন কেজি চালের মূল্যের সমান। অথচ এখন শ্রমিকের মজুরি ১৫ কেজি চালের মূল্যের সমান উন্নীত হয়েছে। চট্টগ্রাম এলাকায় ৭ শ’ থেকে ৮ শ’ টাকার নিচে কোনও শ্রমিক পাওয়া যায় না। ঢাকায়ও তাই, উত্তরবঙ্গে কিছুটা কম। একজন রিকশাচালক-ভ্যানচালক আগে একদিন বাহন না চালাতে পারলে তার চুলাতে আগুন জ¦লতো না। এখন একজন রিকশাচালক যদি মনে করেন, আজকে বা আগামীকাল বাহন চালাবেন না তাতে তাদের কোনও অসুবিধা হয় না। 

তিনি বলেন, ‘১০ টাকা কেজিতে চাল, বিনামূল্যে চালসহ সামাজিক নিরাপত্তা কর্মসূচির মাধ্যমে দেশের কোটি কোটি মানুষকে নানাভাবে সহায়তা দেয়া হয়। এগুলো আগে কখনও ছিল না। করোনা মহামারি ও রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধের কারণে পৃথিবীতে জীবনযাত্রায় নাভিশ্বাস উঠেছে। ইউরোপে ভোজ্যতেলের দাম ৫০ শতাংশের বেশি এবং খাদ্যপণ্যের দাম ৪০ শতাংশের বেশি বৃদ্ধি পেয়েছে। সেখানে সুপার মার্কেটে নানা ধরনের খাদ্যপণ্যের সঙ্কট দেখা দিয়েছে। আমাদের দেশে সেটি হয়নি।’ 

ড. হাছান বলেন, ‘অনেকে বক্তৃতা করেন। কিন্তু বিশ্ব প্রেক্ষাপটের দিকে তাকান না। বিশ্ব সঙ্কটের মধ্যেও আমাদের দেশে জীবনযাত্রা নির্বিঘ্ন আছে।’ 

ক্ষমতায় আসলে শ্রমিকদের অধিকার প্রতিষ্ঠা করবে বিএনপি, মির্জা ফখরুলের এমন বক্তব্যের বিষয়ে সাংবাদিকদের তথ্যমন্ত্রী বলেন, মির্জা ফখরুল সাহেবরা যখন ক্ষমতায় ছিলেন, শ্রমিকরা তখনও অধিকারের দাবিতে আন্দোলন করেছেন। ওই সময় তাদের গুলি করে হত্যা করা হয়েছে। আদমজীর শ্রমিকরা যখন আন্দোলন করেছেন, তখন কি করেছে আপনারা জানেন। কৃষি শ্রমিকরা যখন সার ও কৃষি উপকরণের জন্য আন্দোলন করেছেন, তখন তাদের গুলি করে হত্যা করা হয়েছে। এটিই হচ্ছে বঙ্গবন্ধু কন্যার সঙ্গে অন্যদের পার্থক্য।

এসময় আওয়ামী লীগের উপ-প্রচার সম্পাদক আমিনুল ইসলাম আমিন, চট্টগ্রাম উত্তর জেলা আওয়ামী লীগের সহসভাপতি উপজেলা চেয়ারম্যান স্বজন কুমার তালুকদার, রাঙ্গুনিয়া উপজেলা আওয়ামী লীগের সহসভাপতি আবদুল মোনাফ সিকদার এবং সাধারণ সম্পাদক ইঞ্জিনিয়ার শামসুল আলম তালুকদার উপস্থিত ছিলেন।