ঢাকা মঙ্গলবার, ২২ অক্টোবর ২০২৪

অপ্রকাশিত স্মৃতির কথা জানালেন প্রতিক হাসান-কর্ণিয়া (ভিডিও)

বিনোদন ডেস্ক

প্রকাশ: ০৩ মে ২০২২ | ১৪:১৯ | আপডেট: ০৩ মে ২০২২ | ১৭:৩৭

প্রতি ঈদে দর্শকদের জন্য ব্যতিক্রমী অনুষ্ঠানের পসরা সাজায় দেশের সংবাদভিত্তিক স্যাটেলাইট টেলিভিশন ‘চ্যানেল 24’। এবারও ঈদকে ঘিরে পাঁচ দিনের আয়োজন সাজিয়েছে চ্যানেলটি। সেই ধারাবাহিকতায় ঈদের প্রথম দিন শাহরিন জেবিনের সঞ্চালনায় ঈদ স্পেশাল এন্টারটেইনমেন্ট অনুষ্ঠানে হাজির হয়ে নিজেদের জীবনের নানা গল্প-স্মৃতি তুলে ধরেন জনপ্রিয় সংগীত শিল্পী প্রতিক হাসান ও জাকিয়া সুলতানা কর্ণিয়া।

✪ আরও পড়ুন: ভোটে কারচুপি হলে এক প্যানেলরই সবাই পাস করতো: পীরজাদা হারুন

সংগীতশিল্পী প্রতিক হাসান বলেন, ছোট বেলা থেকেই যেটা মাইন্ড সেটাআপ হয়ে আসে তা হলো, ঈদ মানে অনেক কিছু। এখন ধীরে ধীরে যখন বয়স বাড়ছে তখন ঈদের আনন্দে হয়তো ভাটা পড়ছে। তবে এক্সাইটমেন্ট কখনো কমে না।

তিনি বলেন, আমার কাছে ঈদ মানে সেমাই। ঈদের দিন সকাল বেলা লাচ্ছা সেমাই না খেলে আমার কাছে ঈদ মনে হয় না। আর ভালো ভালো খাবার তো চলতেই থাকে। সেটাও মায়ের হাতের রান্না।

সংগীতশিল্পী কর্ণিয়া জানান, এবার ঈদে অন্তত দশ-বারোটি ড্রেস কেনা হয়েছে তার। এতো ড্রেস কেনার বিষয়ে তিনি বলেন, আমাদের কিনতে হয়। একেকটা জায়গায় একেকটা প্রোগ্রাম থাকে, তা কেন্দ্র করেই কেনা হয়।

✪ আরও পড়ুন: ‘শান’ সিনেমা নিয়ে নতুন যে বার্তা দিলেন সিয়াম-পূজা (ভিডিও)

এবারের ঈদ স্পেশাল কেন⎯ প্রশ্নের জবাবে কর্ণিয়া বলেন, সবশেষ কোরবানি ঈদে আমার করোনা হয়েছিল। সেই সময় খুবই বাজে অবস্থায় ছিলাম আমি। ঈদের দ্বিতীয় বা তৃতীয় দিনে হসপিটালে ছিলাম। কিন্তু এবার তো করোনার ঝামেলা মুক্ত। সবাই অনেক খুশি, পরিবার নিয়ে একসঙ্গে ঈদ করতে পারছি।

তিনি বলেন, আমি শ্বশুরবাড়ি থাকি। সেখানে খুব বেশি রান্না করতে হয় না আমাকে। তবে মাঝে মাঝে আমার শাশুড়ি বিশেষভাবে বলে, তুমি কি গরুর গোশত রান্না করবে? কারণ তারা সবাই জানে, আমি গরুর গোশত খুবই পছন্দ করি। পরে সন্ধ্যার পর স্বামীকে নিয়ে আম্মুর বাসায় যাই। সেখানে তো প্রচুর খাবার রান্না করে অপেক্ষায় থাকে আম্মু। কারণ, তার মেয়ে ও মেয়ের জামাই আসবে বলে কথা। এরপর রাতে একটু ঘোরাঘুরি করি।

ঈদে উপহার পাওয়ার বিষয়ে প্রতিক হাসান বলেন, অনেক উপহার পেয়েছি। আমার সার্কেলটাই এমন⎯ আমি সবার সঙ্গে এমনভাবে মিশি, ওদের জন্য আমি খুঁজে খুঁজে কিনি। আবার আমি জানি না, ওরাও আমার জন্য খুঁজে খুঁজে কিনে। যখন ইন্ডিয়াতে ছিলাম তখন দেশে আসার পর দেখি, অনেকগুলো প্যাকেট জমে আছে। পরে দেখি যাদের কথা ভেবেছিলাম তারাই উপহার পাঠিয়েছে।

✪ আরও পড়ুন: ‘পরিবার থেকে আলাদা হওয়ার পর ঈদের আনন্দ বুঝতে পারিনি’

একই প্রশ্নের জবাবে কর্ণিয়া বলেন, রোজার মধ্যে আমাকে অনেকে উপহার পাঠিয়েছে। হলুদ-মরিচ-মিষ্টিসহ বিভিন্ন প্রয়োজনীয় জিনিস দিয়ে গিফট বক্স করে পাঠানো হয়েছে। যে জিনিসগুলো ঈদে অনেক বেশি কাজে লাগে। যারা এসব উপহার পাঠায় তারা কিন্তু আমাদের মনে রাখে। এটা কিন্তু বিশাল ব্যাপার।

এই গায়িকা ছোট বেলার ঈদের বিষয়ে বলেন, আমরা দাদুর বাড়িতে ঈদ করতাম। দাদুর বাড়ি গ্রামে ছিল। তখন শীতকালে ঈদ হতো। ভোরে ঠান্ডা পানিতে গোসল করতে হতো। আগের দিন কাজিনরা বলতো, তোর ড্রেসটা দেখি। বলতাম, না, কালকে দেখিস। আবার পাশে ছোট্ট একটা ব্যাগ রাখা হতো। সেটা ছিল ঈদি রাখার জন্য। চাচারা সবাই নতুন নতুন টাকা দিতো।

প্রতিক হাসান বলেন, আমি অবশ্যই জুতা লুকিয়ে রাখতাম। ঈদের উত্তেজনায় পাঞ্জাবি বালিশের নিচে লুকিয়ে রাখতাম। জুতা খাটের নিচে রাখতাম। প্যাকেটসহ রেখে দিতাম। এভাবেই ঘুমাতাম আমি। মাঝে মাঝে ঘুমের ঘোরে হাত দিয়ে দেখতাম ড্রেস আছে কিনা (হাসতে হাসতে)। আর সকাল হলে অপেক্ষা করতাম যে, কখন এগুলো পরব আমি। এটা আবেগের ব্যাপার। ঈদের দিন সকালে বাবার সঙ্গে নামাজে যেতাম। তখন নতুন জুতা পায়ে নাচতে নাচতে যেতাম। এসে খাওয়া-দাওয়া করতাম।

✪ আরও পড়ুন: ‘মায়ের রান্না খাবারের জন্য পাগল আমি’

তিনি আরও বলেন, নামাজ থেকে এসে মা-বাবাকে সালাম করতাম। সালাম করলে বাবা সুন্দর একটা বড় টাকার নোট দিতেন। আম্মু হয়তো একটু কম দিতেন। কিন্তু যা দিতো সেটাই অনেক মনে হতো। এরপর এই টাকায় আইসক্রিম খেতাম, বন্ধুদের সঙ্গে রিকশায় ঘুরে বেড়াতাম। আবার আমাদের বন্ধুদের মধ্যে যে সবচেয়ে বেশি সালামি পেত সে সবাইকে দোকানে নিয়ে খাওয়াতো।

এছাড়াও অনুষ্ঠানে জনপ্রিয় এই দুই শিল্পী গান শোনানো সহ অন্যান্য বিভিন্ন বিষয়ে নিজেদের জীবনের অপ্রকাশিত সব স্মৃতি নিয়ে গল্প করেন।

সম্পর্কিত

আরও পড়ুন

×