ঢাকা মঙ্গলবার, ২২ অক্টোবর ২০২৪

স্বামীকে মাতাল করে হাতুড়ি দিয়ে পিটিয়ে মারল স্ত্রী ও তার প্রেমিক

স্বামীকে মাতাল করে হাতুড়ি দিয়ে পিটিয়ে মারল স্ত্রী ও তার প্রেমিক

ছবি - সংগৃহীত

আন্তর্জাতিক ডেস্ক

প্রকাশ: ০১ মে ২০২২ | ১৫:৫৪ | আপডেট: ৩০ এপ্রিল ২০২২ | ১৭:৫৯

শুধু কি তাই; মৃত্যু নিশ্চিত করতে স্বামীর দেহ বস্তাবন্দি করে ফেলে দেন কুয়ায়। ঘটনা ভারতের পশ্চিমবঙ্গের হুগলি জেলার ধনিয়াখলি এলাকার। খবর আনন্দবাজার পত্রিকার।

প্রতিবেদন অনুযায়ী, পুলিশের তদন্তে ফাঁস হয়ে গেছে প্রেমিক-প্রেমিকার এই অপকীর্তি। নিহতের স্ত্রী চাঁপাকে আটক এবং তার প্রেমিক বেচারামকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ।

ওই প্রতিবেদনে আরও বলা হয়, গত ২৯ এপ্রিল হুগলির ধনিয়াখালির দেউলপাড়া এলাকার একটি কুয়া থেকে একটি বস্তাবন্দি মৃতদেহ উদ্ধার হয়। পুলিশ জানতে পারে, মৃত ব্যক্তির নাম সনাতন মাল। তিনি জাঙ্গিপাড়া থানার মহেশপুর গ্রামের বাসিন্দা।

পুলিশ জানায়, চাঁপার সঙ্গে সাত বছর আগে বিয়ে হয় জাঙ্গিপাড়ার মহেশপুরের সনাতনের। তাদের একটি ১৫ বছর বয়সী ছেলে রয়েছে। চাঁপার দিদি দোলন ধাড়া ভান্ডারহাটি দেউলপাড়ার বাসিন্দা। সেখানে যাতায়াতের সুবাদে ৩৭ বছর বয়সী বেচারাম মালিকের সঙ্গে অনেক আগে থেকেই পরকীয়ায় লিপ্ত ছিলেন চাঁপা।

গত ২৮ এপ্রিল সনাতনকে নিয়ে চাঁপা ধনিয়াখালিতে ডাক্তার দেখাতে আসেন। ডাক্তারখানা থেকে ফেরার পথে তাদের দেখা হয় বেচারামের সঙ্গে। পূর্বপরিচিত হওয়ায় বেচারাম সস্ত্রীক সনাতনকে নিমন্ত্রণ করে বাড়িতে নিয়ে যান।

বাড়িতে বসেই দু’জনে মদ্যপান করেন। এর পর সনাতন বেসামাল হয়ে পড়লে হাতুড়ি দিয়ে মাথায় আঘাত করে, গলায় তার পেঁচিয়ে সনাতনকে খুন করেন বেচারাম। রাত বাড়তে বাড়ি থেকে প্রায় ৩০০ মিটার দূরে একটি কূয়ায় সনাতনের দেহ ফেলে দেন।

সকালে কুয়া ব্যবহার করতে গিয়ে দেখা যায়, বস্তা ভাসছে। ধনিয়াখালি থানার পুলিশ এসে বস্তা তুলে তা থেকে মৃতদেহ উদ্ধার করে। মৃতের মাথায় আঘাত, গলায় ধারাল অস্ত্রের গভীর দাগ ছিল। 

প্রাথমিক তদন্তের পর পুলিশ সনাতনের স্ত্রী চাঁপাকে আটক করে জিজ্ঞাসাবাদ করতেই ভেঙে পড়েন তিনি। গ্রেপ্তার হন বেচারামও। যদিও বেচারাম প্রণয়ের সম্পর্কের কথা স্বীকার করতে চাননি বলে জানিয়েছে পুলিশ। বেচারামের দাবি, টাকা পয়সা সংক্রান্ত বিবাদের জেরে রেগে গিয়ে তিনি এই কাণ্ড ঘটান।

আরও পড়ুন

×