ঢাকা মঙ্গলবার, ২২ অক্টোবর ২০২৪

বার্গার-পিৎজা খেয়ে ৫০ জন হাসপাতালে

বার্গার-পিৎজা খেয়ে ৫০ জন হাসপাতালে

বার্গার-পিৎজা খেয়ে প্রায় ৫০ জন হাসপাতালে

স্টাফ রিপোর্টার, নওগাঁ 

প্রকাশ: ০৪ মে ২০২২ | ১৪:২৫ | আপডেট: ০৪ মে ২০২২ | ১৪:৩৪

আজ (৪ মে) বিকেলে বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন নওগাঁ সদর হাসপাতালের আবাসিক মেডিকেল অফিসার ডা. আনছার আলী।

আরও পড়ুন: পাগলাপীরে মাইক্রোবাস-সিএনজির মুখোমুখি সংঘর্ষে ৩ জনের মৃত্যু

হাতপাতালে ভর্তি রাজশাহী প্রকৌশল ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের ৩য় বর্ষ শিক্ষার্থী রাবাবি জান্নাত জানান, তার বাসা শহরের এটিম মাঠ এলাকায়। ঈদের আগের রাত ১১টার দিকে দুটি বার্গার কিনে বাসায় এনে একটু গরম করে সে ও তার ছোট ভাই খায়। প্রায় ১ঘন্টা পর বমি হতে শুরু করে। এরপর পেটে প্রচন্ড ব্যাথা হয়। তারপর তার বাবা রাত সাড়ে ১২টার দিকে হাসপাতালে ভর্তি করায়।

শহরের উকিল পাড়ার বাসিন্দা আব্দুল মান্নান বলেন, সোমবার সন্ধ্যায় আরামবাগ কনফেকশনারী থেকে দু’টি বার্গার ও দুইটি পিৎজা কিনে নিয়ে বাসায় গিয়ে তার ১০ বছরের ছেলে শাফায়াত ও ১৪ বছরের ছেলে শাদাতকে খাওয়ায়। তার কিছুক্ষণ পর বমি ও পেট ব্যাথা শুরু হলে পরিবারের লোকজন হাসপাতালে ভর্তি করায়। ক্ষিপ্ত হয়ে দোকান মালিকের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়ার জন্য প্রশাসনের প্রতি অনুরোধ জানান তিনি।

সদর উপজেলার তিলকপুর ইউনিয়নের মঙ্গলপুর গ্রামের মাহবুবু আলম নামে আরেকজন জানান, তিনি দুটি বার্গার কিনে ৬ বছরের ছেলে সানিমকে খাওয়ান। এরপর পেট ব্যাথা ও বেশ কয়েকবার বমি হয়। পরিস্থিতি বেগতিক দেখে দ্রুত হাসপাতালে ভর্তি করানো হয়।

এসব অভিযোগের বিষয়ে আরামবাগ কনফেকশনারীর মালিক কাজী খালেক বলেন, তারা ৭-৮ বছর ধরে সুনামের সঙ্গে ব্যবসা করছেন। এর আগে কখনও তাদের উৎপাদিত খাবার খেয়ে কেউ অসুস্থ হয়নি। সব সময় মানসম্মত খাবার তৈরির চেষ্টা করেন তারা। সে সঙ্গে পরিষ্কার পরিচ্ছন্নভাবে খাবার তৈরি করেন। তবে হঠাৎ কেন এত মানুষ অসুস্থ হলো তা বুঝে উঠতে পারছেন না তারা।

এ বিষয়ে নওগাঁ সদর হাসপাতালের আবাসিক মেডিকেল অফিসার ডা. আনছার আলী জানান, খাদ্যে বিষক্রিয়ায় এ সমস্যার সৃষ্টি হয়েছে। অসুস্থ কয়েকজনকে ইতোমধ্যে প্রাথমিক চিকিৎসা দিয়ে ছেড়ে দেয়া হয়েছে। হাসপাতালে ভর্তি বাকিদের সুস্থ হতে একটু সময় লাগবে। বর্তমানে ২৫ জনের মত হাসপাতালে ভর্তি রয়েছেন।

নওগাঁ সদর মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা নজরুল ইসলাম জুয়েল বলেন, ঘটনাটি জানার পর তারা হাসপাতালে গিয়েছিলেন। প্রায় ৫০ জনের মত অসুস্থ হয়েছিল। বিষয়টি নিয়ে কেউ অভিযোগ জানালে ব্যবস্থা নেয়া হবে।

নওগাঁ ভোক্তা অধিকার অধিদপ্তর নওগাঁর উপ-পরিচালক শামীম হোসেন বলেন, বিষয়টি তারা জানেন। দ্রুত সময়ের মধ্যে স্থানীয় প্রশাসনের সহযোগিতায় কনফেকশনারীর বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে বলেও জানান তিনি।

জেলা প্রশাসক খালিদ মেহেদী হাসান জানান, অসুস্থ বেশ কয়েকজনের ভিডিও সাক্ষাৎকার গ্রহণ করা হয়েছে। যাদের অনেকেই আরামবাগ কনফেকশনারী কথা বলেছেন। তবে বিষয়টি অধিক গুরুত্বপূর্ণ হওয়ায় স্বাস্থ্য বিভাগ ও প্রশাসন সমন্বয়ে কাজ করবে।

সম্পর্কিত

আরও পড়ুন

×