ঢাকা মঙ্গলবার, ২২ অক্টোবর ২০২৪

গৃহহীনদের ঘর দিতে সাড়ে ৫ হাজার একর জমি উদ্ধার (ভিডিও)

গৃহহীনদের ঘর দিতে সাড়ে ৫ হাজার একর জমি উদ্ধার (ভিডিও)

ছবি: সংগৃহীত

সমকাল ডেস্ক

প্রকাশ: ০৪ মে ২০২২ | ০৫:১৬ | আপডেট: ০৪ মে ২০২২ | ০৫:২২

ঢাকা জেলার সাভার উপজেলার শিমুলিয়া ইউনিয়নের গোহাইলবাড়ী আশ্রয়ণ প্রকল্প। ভূমিহীন ৬৪ পরিবারের আশ্রয় আর আগামীর স্বপ্ন গড়ে উঠেছে যে ১ একর ২০ শতাংশ জমিতে, তা দখলে ছিলে বিএনপি নেতা মোসাদ্দেক আলি ফালুর মালিকানাধীন একটি সিরামিক কারখানার।

সাভার উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মাজহারুল ইসলাম বলেন, শিমুলিয়া ইউনিয়নটি যে এসিল্যান্ড অফিসের আওতায় আশুলিয়ার রাজস্ব সার্কেলের, আমরা সেখানে কথা বলি যে তাদের যে খাস জমির লিস্ট আছে সেখান থেকে সবচেয়ে ভালো জায়গা এটা আমরা করতে পারব। সেই সূত্রে সংশ্লিষ্টরা যাচাই-বাছাই করেছেন এবং প্রাথমিক ভাবে এই জায়গাটির খোঁজ পান। 

তিনি বলেন, আমি দায়িত্বে এসে দেখলাম এই জায়গাটি ঢাকা সাংহাই সিরামিকের দখলে। এরপর আমাদের সম্মিলিত প্রচেষ্টায় এখানে আশ্রয়ণের ঘরগুলো তৈরির কাজ শুরু করি।  

এদিকে ঝিনাইদহের কালীগঞ্জের বারোবাজার ইউনিয়নের মাজদিয়া বাঁওড়ের পাশের জমিতে চলছে আশ্রয়ণ প্রকল্প-২ এর তৃতীয় পর্যায়ের কাজ। যেখানে ঠাঁই হবে বেদে সম্প্রদায়ের ৫৯টি পরিবারের। এ কাজের ২ একর জমি অবৈধ দখলমুক্ত করেছে সরকার।

ঝিনাইদহের কালীগঞ্জ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা সাদিয়া জেরিন বলেন, মুজিববর্ষে প্রধানমন্ত্রীর প্রতিশ্রুতি একটি পরিবারও গৃহহীন থাকবে না। সেই প্রতিশ্রুতি অনুযায়ী কালিগঞ্জ উপজেলা প্রশাসন বেদে সম্প্রদায়ের ৫৯টি পরিবারকে চিহ্নিত করে তাদের পুনর্বাসনের ব্যবস্থা করেছে।

তিনি বলেন, এই জায়গাটি ইতোপূর্বে দখলদারদের কবলে ছিল। এটা আমরা উদ্ধার করেছি যার আনুমানিক বাজার মূল্য প্রায় ৪০ লাখ টাকা।   

প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের তথ্য অনুযায়ী, দেশের ছয়টি বিভাগ থেকে অবৈধ দখলমুক্ত জমির পরিমাণ সাড়ে ৫ হাজার একরেরও বেশি। যার বর্তমান বাজার মূল্য ২ হাজার ৯৬৭ কোটি টাকারও বেশি। এসব জমিতে সরকারের আশ্রয়ণ প্রকল্পের আওতায় ভূমিহীনদের জন্য ঘর তৈরি করা হচ্ছে।

প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের সিনিয়র সচিব মো. তোফাজ্জল হোসেন মিয়া বলেন, জমি উদ্ধারের ভয়াবহ চ্যালেঞ্জ ছিল। কোনও বিত্তশালী জমি ছাড়ছিলেন না। অনেকে আদালতে ডিসি ও ইউএনও’র বিরুদ্ধে মামলা করেছেন। আমাদের এসিল্যান্ড এবং ইউএনওরা করোনার এই ভয়াবহ পরিস্থিতিতে জনপ্রতিনিধি এবং বিভিন্ন দপ্তরের সরকারি কর্মকর্তা-কর্মচারীদের সঙ্গে নিয়ে জমিগুলো উদ্ধার করেছেন। 

আশ্রয়ণ প্রকল্প-২ এর তৃতীয় পর্যায়ে নির্মিত হচ্ছে ৬৫ হাজারেরও বেশি ঘর।

আরও পড়ুন

×