ঢাকা মঙ্গলবার, ২২ অক্টোবর ২০২৪

ভোলার লঞ্চঘাটে কর্মস্থলমুখী যাত্রীদের ঢল

ভোলার লঞ্চঘাটে কর্মস্থলমুখী যাত্রীদের ঢল

লঞ্চে ধারণ ক্ষমতার অধিক যাত্রী

সমকাল ডেস্ক

প্রকাশ: ০৬ মে ২০২২ | ১৪:৪৯ | আপডেট: ৩০ এপ্রিল ২০২২ | ১৭:৫৯

শুক্রবার (০৬ মে) সকাল থেকে ভোলার ইলিশা লঞ্চঘাট গুলো ছিলো যাত্রীদের ঢল। ভোলাসহ  দক্ষিণাঞ্চলের মানুষের যাতায়াতের সহজ মাধ্যম নৌপথ থাকায় লঞ্চই তাদের একমাত্র ভরসা।

ইলিশা ঘাটে কর্মমুখী মানুষের অধিকাংশ বিভিন্ন কারখানার শ্রমিক-কর্মকর্তা। পরিবারের সঙ্গে ঈদ করতে নাড়ির টানে গ্রামে ফিরে এলেও এখন জীবিকার টানে ছুটছেন মানুষ। ইলিশা ফেরি, সি-ট্রাক ও ২টি লঞ্চ টার্মিনালে যাত্রীদের উপড়ে পড়া ভিড়। ভোগান্তি উপেক্ষা করে জীবিকার টানে ফিরছেন মানুষ। তবে সবচেয়ে নারী ও শিশুরা বেশি বিড়ম্বনার মধ্যে পড়ছেন।

জেলার ৮টি রুটে ৩৫টি লঞ্চ চলাচল করায় টার্মিনালে ভিড় বাড়ছেই। ভোগান্তি নিয়েই কর্মস্থলে ফিরছেন মানুষ। ভোলার ইলিশা, দৌলতখান, চরফ্যাশন, বোরহানউদ্দিন ও লালমোহন উপজেলার মঙ্গলসিকদার ঘাটসহ বিভিন্ন ঘাটে যাত্রী বোঝাই করে ঢাকার উদ্দেশ্য ছাড়ছে দেখা গেছে লঞ্চগুলো। তবে সবচেয়ে বেশি চাপ ভোলার ব্যস্ততম লঞ্চঘাট ইলিশা লঞ্চ ঘাট। এখান থেকে ১০ থেকে ১২টি লঞ্চ ঢাকা ও লক্ষ্মীপুরের উদ্দেশ্যে ছেড়ে যায়। এছাড়াও গ্রিন লাইন, সি ট্রাক ও ৪টি ফেরী যাতায়াত করে।

কথা হয় হাসেম আলীর সঙ্গে তিনি বলেন, প‌রিবার নিয়ে ঈদ করতে নিজ বা‌ড়ি বাংলাবাজার এসেছিলাম। ঈদ উদযাপন করে তাড়াতাড়ি ঢাকা ফিরতে চাই। কেননা দিন যত বাড়বে, যানবাহনের চাপ তত বাড়বে। তাই ঈদের ছুটি একদিন থাকলেও নিরিবিলি ঢাকায় যাওয়ার জন‌্য লঞ্চে উঠেছি প‌রিবার-প‌রিজন নিয়ে। কিন্তু লঞ্চের পা ফেলারও উপায় নেই।

মো. রুবেল বলেন, ঘাটে যাত্রীদের অস্বাভাবিক চাপ। লঞ্চগুলোতে ভিড় হলেও কিছুই করার নেই। কর্মস্থলে ফিরতে হবে। তাই ভোগান্তি নিয়েই ফিরছি।

আরও পড়ুন: পানিতে ডুবে ভাই-বোনসহ ৪ জনের মৃত্যু, এলাকায় শোকের মাতম

সুমাইয়া খানম বলেন, ঢাকা থেকে ঈদ করতে বাড়ি আসছি। এখন ঢাকা যাওয়ার পালা কিন্তু লঞ্চে কেবিন তো নাই। বসে যে যাবো তার কোনো ব্যবস্থা নেই।

মো. মাহফুজ বলেন, লঞ্চে এতো যাত্রী যে দাঁড়ানোর কোনো অবস্থা নেই। লঞ্চের এই বাজে অবস্থার মধ্যে অধিক ভাড়া নিচ্ছে।

ইলিশা ঘাট থেকে বেশিরভাগ লঞ্চগুলো ধারণ ক্ষমতার অধিক যাত্রী নিয়ে চলাচল করতে দেখা গেছে। তবে ঘাটে বিশৃঙ্খলা নিয়ন্ত্রণে পুলিশ ও নৌ-পুলিশ মোতায়েন রয়েছে। তবে কোথাও কোনো অপ্রিতিকর ঘটনার খবর পাওয়া যায়নি।

ভোলা নদী বন্দরের সহকারী পরিচালক মো. শহিদুল ইসলাম বলেন, নৌ যানগুলো যাতে অতিরিক্ত যাত্রী বোঝাই করতে না পারে সে জন্য বিআইডব্লিউটিএ মনিটরিং করছে। তবে যাত্রীদের চাপ কিছুটা কম।

সম্পর্কিত

আরও পড়ুন

×