ঢাকা মঙ্গলবার, ২২ অক্টোবর ২০২৪

‘মায়ের রান্না খাবারের জন্য পাগল আমি’

‘মায়ের রান্না খাবারের জন্য পাগল আমি’

অভিনেতা আব্দুন নূর সজল

সমকাল ডেস্ক

প্রকাশ: ০২ মে ২০২২ | ০৬:১২ | আপডেট: ০২ মে ২০২২ | ০৬:৩২

আব্দুন নূর সজল

অভিনেতা সজল ‘চ্যানেল 24 অনলাইন’-এর সঙ্গে আলোচনাকালে বর্তমান ব্যস্ততা সম্পর্কে বলেন, ঈদের ঠিক আগ মুহূর্তে ব্যস্ততার শেষ থাকে না। দু-একদিন ধরে বাসার সবার জন্য ঈদে যে কাজগুলো থাকে সেসব করতে করতেই সময় কাটছে। পরিবারে মানুষজন প্রচুর। তাদের সবার জন্য কেনাকাটা করলাম। আবার পরিবারের বাইরেও তো কিছু পরিবার থাকে আমাদের। প্রতিবেশীসহ বাসায় আমাদের পরিবারে বিভিন্ন কাজে যারা সহযোগিতা করেন তারাও পরিবারের অংশ। ঈদে তাদের জন্যও কিছু করার দায়িত্ব থাকে। আবার যারা আমার সহযোগী হিসেবে কাজ করে তারাও আমার কাছে পরিবারের অংশ। সেই জায়গা থেকে তাদের জন্যও কেনাকাটা করেছি। এভাবেই ব্যস্ত সময় পার করছেন বলে জানালেন এই অভিনেতা।

তবে ঈদকে কেন্দ্র করে কখনো নিজের জন্য শপিং করা হয় না ছোট পর্দার জনপ্রিয় এই অভিনেতার।

আব্দুন নূর সজল

এবারের ঈদে এই অভিনেতার কয়েকটি নাটক আসছে। তবে তা অন্যান্য বছরের মতো খুব বেশি নয়। এ বিষয়ে তিনি বলেন, এবারের ঈদে সেই অর্থে নাটক সেভাবে করিনি। চারটি শর্টফিল্ম করেছি। এসব বিভিন্ন চ্যানেলে প্রচার হবে। এর মধ্যে নির্মাতা মাবরুর রশিদ বান্নাহ’র একটি কনসেপ্ট খুবই ভালো লেগেছে আমার। এটি হচ্ছে ‘সিঙ্গেল সিন স্টোরি’। এখানে একটি করে দৃশ্য, সেখানেই পুরো গল্প বলা আছে। আর গল্পগুলো বেশ চ্যালেঞ্জিং। ভালো লেগেছে।

তিনি আরও বলেন, এই রমজানে যে পরিমাণ গরম ছিল তাতে রোজা রেখে শুটিং করা খুবই কষ্টসাধ্য কাজ ছিল। আর আমি রোজার অনেক আগেই বলেছিলাম, এবার ঈদে অন্যান্য বছরের মতো বেশি নাটক করব না। অনেক ভেবে এই সিদ্ধান্ত নিয়েছিলাম। তবে একদমই কাজ করিনি তা নয়। চারটি শর্টফিল্ম ছাড়াও তিন-চারটি নাটক করেছি।

আব্দুন নূর সজল

ঈদ প্রসঙ্গ উঠতেই সজল নিজের বিষয়ে বলেন, আমার কাছে ঈদুল ফিতর এখন খুব দায়িত্বের ঈদ মনে হয়। আগেই বলেছি⎯ নিজের পরিবার থেকে শুরু করে আত্মীয়-স্বজন, প্রতিবেশী, আমার সহযোগী ও বাসায় যারা কাজে সহযোগিতা করে তাদের সবার দায়িত্ব আমার ওপর। ঈদের এই সময় সেই মানুষগুলোর জন্য আমাদের সময় বরাদ্দ থাকা উচিত। ঈদ অর্থ আনন্দ। আর আনন্দ কখন হয়, যখন আমাদের কাছের মানুষদের সঙ্গে বসে একটু গল্প করা, আড্ডা দেয়া হয়। তাদের সঙ্গে একটু সময় কাটানোর সুযোগ হওয়াই তো আনন্দের বিষয়।

সজল বলেন, ভাই-বোন দু’জন দেশের বাইরে থাকে। ঈদ আসলে তাদের খুব মিস করি। ভাগ্নে-ভাগ্নিও রয়েছে দেশের বাইরে। ঈদ আসলে সবার সঙ্গে সময় কাটলেও এই ক’জন মানুষকে মিস করা হয়। যে কারণে বছরের যে সময়টা আমরা সবাই একসঙ্গে কাটাতে পারি সেই সময়টা অনেক আনন্দের মনে হয়।

আব্দুন নূর সজল

ঈদে নিজের খাবারের বিষয়ে তিনি বলেন, আমি খুব পেটুক স্বভাবের। সব খাবারই পছন্দ করি। তবে দুধ সেমাই, পায়েস ও জর্দা বেশি পছন্দ করি। এই তিনটি খাবার না থাকলে ঈদকে ঈদই মনে হয় না আমার কাছে। এক কথায় মিষ্টিজাতীয় খাবার ভীষণ প্রিয়।

এছাড়া মায়ের হাতের রান্নার বিষয়ে জনপ্রিয় এই তারকা বলেন, আমি আমার মায়ের রান্না করা খাবারের জন্য পাগল। মায়ের কিছু খাবার আমার কাছে অমৃত। মা নিজেও জানেন এটা। মা একটা কাবাব তৈরি করেন। বিশেষ করে কোরবানি ঈদে এটা বেশি হয়। আর মুরগির সাদা কোরমা করেন। এটাও অনেক পছন্দ। মায়ের রান্না করা সাদা পোলাও-ও অনেক সুস্বাদু হয়।

আব্দুন নূর সজল

এই অভিনেতা মডেলিং দিয়ে ক্যারিয়ার শুরু করলেও এরপর ছোট পর্দা ও পাশাপাশি পাঁচটি সিনেমা এবং ওয়েব সিরিজেও কাজ করেছেন। এসব কাজের মধ্যে কোনটি বেশি চ্যালেঞ্জিং মনে হয়⎯ এ প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, আমি মাধ্যমের বিষয়ে আলাদা করে বলব না। আসলে সাম্প্রতিক সময়ে যে কাজগুলো করা হয় তার গল্পের সঙ্গেই সম্পৃক্ত হয়ে যাই। যে গল্পগুলোই চ্যালেঞ্জিং, যা সম্পূর্ণ আলাদাভাবে ভাবায়। যে গল্পগুলো করার জন্য প্রিপারেশন নিতে হয়। এ কারণে আমি বলব মাধ্যম কোনো বিষয় না। এখন অনেক রকম গল্প, চরিত্র রয়েছে; তার সঙ্গে শিল্পীর সম্পৃক্ত হতে পারাটাই চ্যালেঞ্জিং।

এছাড়া তিনি ওটিটি প্ল্যাটফর্মকে সাধুবাদ জানিয়ে বলেন, এই ওটিটির জন্যই এখন অনেক বৈচিত্র্যময় গল্প দেখা যাচ্ছে। আমি নিজেও শিল্পীর বাইরে একজন দর্শক। আমার কাছে খুব বৈচিত্র্যময় গল্প দেখতে ভালো লাগে।

 আরও পড়ুন: নিজের দায়বদ্ধতা থেকে শ্রমিকদের নিয়ে গান করেছি: মনির খান

ওটিটি প্ল্যাটফর্ম সিনেমা হলের বিকল্প হতে পারে কিনা জানতে চাইলে অভিনেতা সজল বলেন, দুটো একদমই আলাদা বিষয়। ওটিটি ও সিনেমা হলকে এক করে ভাবার কারণ নেই। আমরা কেন যে এই দুটোকে মিলিয়ে ফেলি তা স্পষ্ট নয় আমার কাছে। টেলিভিশন, সিনেমা হল ও ওটিটি এসব আলাদা প্ল্যাটফর্ম। প্রতিটির জন্য আলাদা আলাদা দর্শক রয়েছে। এই প্ল্যাটফর্মগুলোর জন্য আলাদা আলাদা গল্পও বলা আছে। তবে সবাই সবার সঙ্গে পরিপূরকভাবে চলছে। এটাও স্বাভাবিক। আর একটি সিনেমা কিন্তু নির্ধারিত একটি সময়ের পর টেলিভিশনে প্রিমিয়ারও হয়। আবার কিন্তু তা সিনেমা হলেও আসছে। অর্থাৎ, প্রতিটি গল্পের জন্য আলাদা আলাদা জায়গা রয়েছে, তার দর্শক রয়েছে এবং আলাদা আলাদা জায়গা থেকে তা দেখার মজাও রয়েছে।

সম্পর্কিত

আরও পড়ুন

×