ঢাকা মঙ্গলবার, ২২ অক্টোবর ২০২৪

ঠাকুরগাঁওয়ে পেট্রোল-অকটেন সংকট, বিপাকে যান চালকরা

ঠাকুরগাঁওয়ে পেট্রোল-অকটেন সংকট, বিপাকে যান চালকরা

ছবি সংগৃহীত

সারাদেশ ডেস্ক

প্রকাশ: ০৫ মে ২০২২ | ১৩:৩২ | আপডেট: ০৫ মে ২০২২ | ১৩:৩৬

পাম্প কর্তৃপক্ষ এবং খুচরা বিক্রেতারা বলছেন, ডিপো থেকে পেট্রোল সরবরাহ বন্ধ থাকায় এ সংকটের সৃষ্টি হয়েছে। তবে কবে নাগাদ সমস্যার সমাধান হবে তা কেউ বলতে পারছেন না। জেলায় দৈনিক পেট্রোল, অকটেন ও ডিজেলের চাহিদা রয়েছে প্রায় ৯০ হাজার লিটার। এর মধ্যে পেট্রোল ২৩ হাজার লিটার, অকটেন সাড়ে ১৬ হাজার লিটার এবং ডিজেলের চাহিদা ৫০ হাজার লিটার। এখন জেলায় প্রায় ১৪ হাজার লিটার পেট্রোল কম সরবরাহ করা হচ্ছে। ফলে এ সংকট তৈরি হয়েছে।

সংকট শুরুর পর থেকে পেট্রোল না থাকায় বাধ্য হয়ে বিকল্প হিসেবে অকটেন ব্যবহার করছিলেন যান চালকেরা। তবে কিছু ফিলিং স্টেশনে তা নেই জানিয়ে স্টেশন বন্ধ রাখা হয়েছে। ফলে দ্রুতই অকটেন সংকটের আশঙ্কা দেখা দিয়েছে। 

মোটরসাইকেল চালক মাসুদ বলেন, ‘ঈদের দিন থেকে পেট্রোল পাচ্ছি না। কী কারণে তা সরবরাহ বন্ধ রয়েছে এর সঠিক উত্তর দিতে পারছে না ফিলিং স্টেশন কর্তৃপক্ষ। ফলে আমরা চরম ভোগান্তিতে পড়েছি।’

সংকটের বিষয়ে জানতে চাইলে ফিংলি স্টেশনের ম্যানেজার বলেন, ‘ডিপো থেকে কী কারণে পেট্রোল সরবরাহ বন্ধ রয়েছে তা আমার জানা নেই। এটি না দিতে পারায় আমাদের অনেক কাস্টমার ফিরে যাচ্ছে। এ সমস্যা ঠাকুরগাঁওয়ের সব ফিলিং স্টেশনেই। আমরা দ্রুত এর সমাধান চাই।’

অকটেনের সংকট দেখিয়ে স্টেশন বন্ধ করা বাঁধন কাঁকন ফিলিং স্টেশনের ম্যানেজার রশিদুল ইসলাম জানান, ঈদে আগেই পেট্রোল শেষ হয়ে গেছে। এতে অকটেনের ওপর অতিরিক্ত চাপ সৃষ্টি হয়েছে এবং দ্রুত শেষ হয়ে গেছে।

আরও পড়ুন: ক্যাম্পাসে ঈদ আনন্দ ছিল জীবনের শ্রেষ্ঠ দিনগুলোর মধ্যে একটি

মেসার্স সুপ্রিয় ফিলিং স্টেশনের ম্যানেজার কবিরুল বলেন, ‘পেট্রোল সরবরাহ না দিতে পারায় এবার ঈদে চরম ব্যবসার ক্ষতি হয়েছে। ডিপো থেকে সরবরাহ বন্ধ থাকায় আমরা বিপাকে পড়েছি। তবে আশা রাখি, শিগগির এর সমাধান হবে।’ 

তবে জেলা প্রশাসক বলছেন, এটি কোনও কৃত্রিম সংকট নয়। এই ব্যাপারে কাজ করছে প্রশাসন।

মধ্যে সদর উপজেলায় ২৪টি, বালিয়াডাঙ্গী উপজেলায় দুটি, হরিপুর উপজেলায় দুটি, রাণীশংকৈল উপজেলায় চারটি এবং পীরগঞ্জ উপজেলায় চারটি ফিলিং স্টেশন রয়েছে।

সম্পর্কিত

আরও পড়ুন

×