ঢাকা মঙ্গলবার, ২২ অক্টোবর ২০২৪

পশ্চিমবঙ্গ সফরে অমিত শাহ, ভয় পাচ্ছে কংগ্রেস

পশ্চিমবঙ্গ সফরে অমিত শাহ, ভয় পাচ্ছে কংগ্রেস

ছবি: সংগৃহীত

সমকাল ডেস্ক

প্রকাশ: ০৫ মে ২০২২ | ১১:৪৭ | আপডেট: ৩০ এপ্রিল ২০২২ | ১৭:৫৯

এরপর হেলিকপ্টারে বনগাঁর হরিদাসপুরে পৌঁছান শাহ। সেখানেই বিএসএফের শীর্ষ কর্তাদের সঙ্গে দীর্ঘ বৈঠক করেন তিনি। বাংলাদেশ মুক্তিযুদ্ধের ৫০ বছর উপলক্ষে হরিদাসপুর ক্যাম্পে মৈত্রী সংগ্রহশালা শিলান্যাস করেন তিনি। এসময় ৮৫ নম্বর বিএসএফ ব্যাটালিয়নের অনুষ্ঠানে যোগ দিয়ে অমিত শাহ বলেন, দেশের সুরক্ষার বিএসএফ জওয়ানরাই করতে পারে। সীমান্তে বিএসএফ রয়েছে বলেই আমরা নিশ্চিন্তে ঘুমাতে পারি। ভারত মানবাধিকারের বিষয়ে বিশেষ গুরুত্ব দেয়। দেশের সীমান্তে ভারতের নিরাপত্তা বাহিনীর সদস্যরা দীর্ঘদিন ধরে স্থানীয়দের মানবাধিকার রক্ষা করে চলেছে। সত্তরের দশকে মুক্তিযুদ্ধের সময় যখন শরণার্থী ঢল নেমেছিল বঙ্গে, সেই সময়ও ভারতীয় সেনা সদস্যরা বাংলাদেশকে মুক্ত করে সে দেশের মানুষদের মানবাধিকার রক্ষা করেছে বলে মন্তব্য করেন অমিত।

আরও পড়ুন: ওড়ার ৪০ মিনিট পর জানা গেল ট্রেনিং শেষ হয়নি পাইলটের, অতঃপর...

বিএসএফের সদস্যদের উদ্দেশ্য করে অমিত শাহ বলেন, আমি জানি যেসব সেনাসদস্যরা সীমান্ত এলাকায় পাহারার দায়িত্বে রয়েছেন তাদের কাজ কতটা কঠিন, আপনাদের সব সময় সতর্ক থাকতে হয়। ভারত-বাংলাদেশ সীমান্তের সবচেয়ে বেশি অনুপ্রবেশের সমস্যা রয়েছে। কৌশল বদল করছে অনুপ্রবেশকারীরা। অনুপ্রবেশকারীদের রোখাই বড় চ্যালেঞ্জ। অনুপ্রবেশকারীদের রুখতে টহলদারিতে জোর দেয়ার নির্দেশ দেন অমিত শাহ। এসময় শাহের সঙ্গে ছিলেন কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী নিশীথ প্রামাণিক, বালুরঘাটের সাংসদ সুকান্ত মজুমদার ও রাজ্যের বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী।

বনগাঁ হরিদাসপুরের বিএসএফ চৌকিতে মধ্যাহ্নভোজ সেরে স্থানীয় মতুয়া প্রতিনিধি ও স্থানীয় সংসদ সদস্য শান্তনু ঠাকুর ও স্থানীয় বিজেপি বিধায়কদের সঙ্গে বৈঠকে যোগদান করে অমিত। এরপরই তিনি উড়ে যান পশ্চিমবঙ্গের উত্তরবঙ্গের উদ্দেশ্যে। বিকেলে শিলিগুড়িতে জনসভায় ভাষণ দেয়ার কথা তার।

আরও পড়ুন: ২৪০০ মন্দিরের মধ্যে লাউডস্পিকার ব্যবহারে অনুমতি পেয়েছে মাত্র ২৪টি

আগামীকাল সকালে কোচবিহার জেলার ছিটমহল পুনর্বাসন কেন্দ্র তিনবিঘা করিডোর সফরে যাবেন কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী। দুপুরের মধ্যাহ্ন ভোজনের পর ফিরে আসবেন কলকাতায়। কলকাতায় দলীয় বিজেপি সাংসদ, বিধায়ক, পদাধিকারীদের সঙ্গে বৈঠক করার কথা তার। এরপর সন্ধ্যায় যোগ দেবেন ভিক্টোরিয়া মেমোরিয়ালে একটি সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানে।

এদিকে অমিত শাহের আসা প্রসঙ্গে কংগ্রেস সাংসদ অধীর রঞ্জন চৌধুরী বলেন, অমিত শাহ বাংলায় আসা মানে আবার এনআরসি, সিএএ বাংলায় আসছে। নিজের সংসদীয় আসন বহরমপুররে এক সংবাদ সম্মেলন করে অধীর চৌধুরী দাবি করেন, ‘অমিত শাহ বাংলায় এসে ফের এনআরসি, সিএএ নিয়ে কথা বলবেন। বাংলায় এসে অমিত শাহ বলবেন আমরা নাগরিক আইন চালু করব, আইন তৈরি হচ্ছে, কিছুদিনের মধ্যেই আইন তৈরি হয়ে যাবে, আমরা কথা দিচ্ছি বিজেপি যা বলে সেখান থেকে সরে না’ একধাপ এগিয়ে কার্যত চ্যালেঞ্জ করে অধীর চৌধুরী বলেন, অমিত শাহের এই বক্তব্যগুলো না থাকলে আমার কান কেটে দেবেন।

আরও পড়ুন: মসজিদে আজান হলো ঠিকই তবে শোনা গেল না মাইকে

আরও পড়ুন

×