ইউরোপের সবচেয়ে বড় ন্যাটো বাহিনী গড়ার স্বপ্ন শলৎসের

ইউক্রেন যুদ্ধের শুরুতেই জার্মান সেনাবাহিনীকে শক্তিশালী করে তুলতে জার্মান চ্যান্সেলর ওলাফ শলৎস ১০ হাজার কোটি ইউরো অংকের বিশেষ তহবিলের ঘোষণা করেছিলেন৷ শলৎসের মতে খুব দ্রুতই জার্মানি ইউরোপের সবচেয়ে বড় এবং প্রথাগত সেনাবাহিনী পেতে চলেছে। সেই সঙ্গে অঙ্গীকার করেছেন ইউক্রেনে আরও অস্ত্র সরবরাহের।

ডয়েচে ভেলের খবরে বলা হয়, রোববার (২৯ মে) প্রধান বিরোধী শিবিরের সঙ্গে বোঝাপড়ার ভিত্তিতে প্রশস্ত হয়েছে সংবিধান সংশোধনের পথ। এতে সন্তুষ্টি প্রকাশ করেছেন শলৎস। তিনি বলেন, জার্মানি শিগগির ন্যাটোর কাঠামোর মাধ্যমেই ইউরোপের সবচেয়ে বড় সেনাবাহিনী পেতে চলেছে৷ তিনি মনে করেন এর মাধ্যমে জার্মানি ও তার সহযোগীদের নিরাপত্তার উল্লেখযোগ্য উন্নতি হবে৷

তিনি বলেন, জার্মানি ইউক্রেনকে অস্ত্র সরবরাহ করেছে, ভবিষ্যতেও করবে।  প্রতিরক্ষা কোম্পানিগুলির মাধ্যমে অস্ত্র ও সামরিক সরঞ্জাম সংগ্রহ করে সে দেশে পাঠানোর প্রক্রিয়া চলছে বলেও জানান জার্মান চ্যান্সেলর৷

এদিকে দেরিতে অভিযোগ অস্বীকার করে শলৎস বলেন, পূর্বনির্ধারিত সময়সীমা অনুযায়ীই সেই প্রক্রিয়া অগ্রসর হচ্ছে এবং ইতিমধ্যেই জার্মানিতে ইউক্রেনীয় সৈন্যদের প্রশিক্ষণও শুরু হয়ে গেছে। সম্মেলনে সহযোগীদের উদ্দেশ্যে শলৎস বলেন, জার্মান সেনাবাহিনীর হাতে বাড়তি সামরিক যানের সংখ্যা খুবই কম৷ ২০১০ সাল থেকে ব্যয় সংকোচের ফলে এমন সমস্যা রয়েছে৷ ফলে চটজলদি এমন যান সরবরাহ করা কঠিন৷

এছাড়াও পূর্ব ইউরোপের কিছু দেশে সোভিয়েত আমলের ভারি অস্ত্র অবিলম্বে ইউক্রেনকে সরবরাহ করে জার্মানি সে সব দেশকে বিকল্প অস্ত্র দেবার যে অঙ্গীকার করেছে, সেই প্রক্রিয়ায়ও সমালোচনার কোনো কারণ দেখছেন না ওলাফ শলৎস৷ তিনি বলেন, এ প্রসঙ্গে পোল্যান্ডের অভিযোগ শুনে তিনি অত্যন্ত বিস্মিত হয়েছেন৷ চেক প্রজাতন্ত্র ও স্লোভাকিয়ার সঙ্গে এ বিষয়ে যে বোঝাপড়া হয়েছে, তাতে কোনো সমস্যা হয় নি বলে দাবি করেন শলৎস৷

উল্লেখ্য, গত সপ্তাহের শেষে শলৎস ও ফ্রান্সের প্রেসিডেন্ট এমানুয়েল মাক্রোঁর সঙ্গে যৌথ টেলিফোন সংলাপে পুতিন পশ্চিমা বিশ্বকে সতর্ক করে দিয়েছিলেন৷ তার মতে, এর ফলে স্থিতিশীলতা এবং মানবিক সংকট আরও বিপন্ন হবার ঝুঁকি সৃষ্টি হচ্ছে৷ তারই জবাবে শলৎস বলেন, যতদিন প্রয়োজন, ইউক্রেনকে সহায়তা করা হবে৷ সেইসঙ্গে জার্মান সেনাবাহিনীকে শক্তিশালী করার উদ্যোগও চালু থাকবে বলে শলৎস আশ্বাস দেন৷