আইন-আদালত

ট্রান্সকম চেয়ারম্যান লতিফুরের রিটের শুনানি ১০ মার্চ

সিনিয়র করেসপন্ডেন্ট, বার্তা ২৪.কম

প্রকাশ: ৭ মার্চ ২০১৯, ১৪:৫৬

ট্রান্সকম চেয়ারম্যান লতিফুরের রিটের শুনানি ১০ মার্চ

ছবি: সংগৃহীত

অবৈধ সম্পদ অর্জনের অভিযোগে ট্রান্সকম গ্রুপের চেয়ারম্যান ও সিইও লতিফুর রহমানের প্রতি দুদকের নোটিশ ও পরে একটি স্বাক্ষর, স্মারক ও তারিখ ছাড়া প্রেরিত চিঠির মাধ্যমে তথ্যাদি চাওয়ার বিরুদ্ধে করা রিটের উপর শুনানি শেষ করেছেন হাইকোর্ট। একই সঙ্গে এ রিটের উপর আগামী ১০ মার্চ আদেশের দিন নির্ধারণ করেছেন আদালত।

বৃহস্পতিবার (৭ মার্চ) বিচারপতি মো. নজরুল ইসলাম তালুকদার ও বিচারপতি কে এম হাফিজুল আলমের সমন্বয়ে গঠিত হাইকোর্ট বেঞ্চ এই আদেশ দেন।

আদালতে রিটকারীর পক্ষে ছিলেন ব্যারিস্টার রোকন উদ্দিন মাহমুদ, অ্যাড. এ এম আমিন উদ্দিন ও ব্যারিস্টার মাহবুব শফিক। দুদকের পক্ষে ছিলেন আইনজীবী মো. খুরশীদ আলম খান। আর রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল এ কে এম আমিন উদ্দিন মানিক ও সহকারী অ্যাটর্নি জেনারেল হেলেনা বেগম চায়না।

আদালতে রিটের শুনানিকালে দুদক আইনজীবী আদালতকে বলেন, ‘অবৈধ উপায়ে অর্থ সংগ্রহের অভিযোগে ট্রান্সকম গ্রুপের চেয়ারম্যান ও প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা লতিফুর রহমানকে দেওয়া নোটিশটি দুদকের নয়।’

এর আগে গত বছরের ১১ অক্টোবর লতিফুর রহমানকে এক নোটিশ প্রদান করে দুদক। এতে লতিফুর ও তার পরিবারের সদস্যদের বিরুদ্ধে ট্রান্সকম গ্রুপভুক্ত বিভিন্ন শিল্প প্রতিষ্ঠানের গ্যাসবিল, বিদ্যুৎ বিল, ভ্যাট ইত্যাদি ফাঁকি দিয়ে শত শত কোটি টাকার অবৈধ সম্পদ অর্জন ও বিভিন্ন দেশে অর্থ পাচার এবং অবৈধ উপায়ে জমি দখলে রাখার বিষয়ে একই বছরের ১৮ অক্টোবর দুদকে হাজির হতে বলা হয়।

উপ- পরিচালক ও অনুসন্ধানকারী কর্মকর্তা মো. নাসির উদ্দিনের নিকট হাজির হতে বলা হয় চিঠিতে। মো. নাসির উদ্দিন নিজেই নোটিশে স্বাক্ষর করেছিলেন। সেই মোতাবেক লতিফুর রহমান হাজিরও হয়েছিলেন।

পরে আবার লতিফুর রহমানের কাছে স্বাক্ষর, স্মারক ও তারিখবিহীন চিঠিতে বিভিন্ন বিষয়ে হিসাব চাওয়া হয়। এরপর এই চিঠিকে চ্যালেঞ্জ করে গত ৩ মার্চ হাইকোর্টে রিট দাখিল করা হয়। লতিফুর রহমানের পক্ষে আদালতে খান মো. শাহাদাত হোসেন হলফ করে রিটটি দায়ের করেন।