ঈদের চতুর্থদিনেও পর্যটকদের পদচারণায় মুখরিত কুয়াকাটা সৈকত

শুক্রবার (৬ মে) ঈদের চতুর্থদিন সকাল থেকেই সৈকতের জিরো পয়েন্ট থেকে ঝাউবাগান, লেম্বুরবন অর্থাৎ তিন নদীর মোহনা থেকে গঙ্গামতি, সৈকতের দীর্ঘ ১৮ কিলোমিটার এলাকা জুড়েই এখন পর্যটকদের আনাগোনা। এছাড়া ইলিশ পার্ক, ইকো পার্ক,বৌদ্ধ বিহার ও রাখাইন মার্কেটসহ সকল পর্যটন স্পটে রয়েছে পর্যটকদের উচ্ছ্বাসিত উপস্থিতি।

ঈদুল ফিতর উপলক্ষে প্রথম দিন সকাল থেকে এসব পর্যটকের আগমন ঘটে কুয়াকাটায়। আগত পর্যটকরা সৈকতে ছবিতোলা, বালিয়াড়িতে হৈ-হুল্লোড়, আড্ডা, বেঞ্চিতে বসে সময় কাটানো এবং নোনা জল গাঁ ভাসিয়ে উপভোগ করছেন তাদের ভ্রমণ। এমন পর্যটকদের আগমনে বুকিং রয়েছে কুয়াকাটার সব আবাসিক হোটেল মোটেলের ৯০ ভাগ কক্ষ। কুয়াকাটা ট্যুরিস্ট পুলিশসহ আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর তৎপরতা ছিল লক্ষণীয়। আগত পর্যটকদের সার্বিক নিরাপত্তায় কঠোর অবস্থানে রয়েছে তারা।

খুলনা থেকে আসা পর্যটক দম্পতি সুমনা-আশিক জানান, ঈদের ছুটিতে পরিবার নিয়ে এখানে এসেছি। ঝাউবাগান, শুটকি পল্লী এবং ইলিশ পার্ক ঘুরে দেখেছি। খুবই আনন্দ উপভোগ করেছি। ঢাকা থেকে আসা অপর পর্যটক মিজানুর রহমান বলেন, একই স্থানে বসে সূর্যোদয় এবং সূর্যাস্ত উপভোগ করবো এ অনুভূতি প্রকাশ করার মত নয়। বার বার এখানে ছুটে আসতে মন চায় বলে তিনি জানিয়েছেন। 

কুয়াকাটা ট্যুরিজম ব্যবসায়ী আবুল হোসেন রাজু জানান, ঈদের চতুর্থ দিনে কুয়াকাটা সৈকতে ১৫ হাজারের অধিক পর্যটক রয়েছে। তাদের সেবায় পর্যটন সংশ্লিষ্ট সব ব্যস্ত রয়েছে। আসা করছি এই সুযোগে কিছুটা হলেও আর্থিক ক্ষতি পুষিয়ে নিতে পারবো।

আরও পড়ুন: ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় মসজিদে টিকটক করায় ৩৫ তরুণ-তরুণী আটক

কুয়াকাটা আন্ধারমানিক ট্যুরিজম'র ব্যবস্থাপনা পরিচালক কে এম বাচ্চু জানান, আগত পর্যটকদের বিনোদনের জন্য আমাদের ১৫টি বোট প্রস্তুত রয়েছে। মৎস্য বন্দর আলীপুর থেকে শুরু করে টেংরাগিরি, ফাতরা, লেম্বুরবন, লালকাঁকড়া ও শুটকি পল্লী মিলিয়ে ৪ ঘণ্টার প্যাকেজ। জন প্রতি পর্যটকদের কাছ থেকে ২০০ থেকে ৩০০ টাকা করে নিচ্ছি। 
 
কুয়াকাটা হোটেল-মোটেল ওনার্স এসোসিয়েশনের সাধারণ সম্পাদক মোতালেব শরীফ জানান, কুয়াকাটায় প্রায় ১৫ হাজার পর্যটকদের রাত্রিযাপনের ধারণক্ষমতা রয়েছে। আজ তার অধিক পর্যটক এখানে অবস্থান করছে। তবে অনেক পর্যটক সূর্যাস্ত উপভোগ করে নিজ গন্তব্যে পৌঁছে যাচ্ছে।

ট্যুরিস্ট পুলিশ কুয়াকাটা জোনের পরিদর্শক হাসনাইন পারভেজ জানান, পর্যটকদের নিরাপত্তায় ট্যুরিস্ট পুলিশের পক্ষ থেকে বিভিন্ন পর্যটন স্পটে বাড়তি নিরাপত্তা ব্যবস্থা জোরদার করা হয়েছে। এছাড়া সাদা পোশাকের পুলিশ সদস্যসহ মাঠে নৌ-পুলিশ ও থানা পুলিশও তৎপর রয়েছে।