গরিব-অসহায়ের চাল বিক্রির অভিযোগে ইউপি সচিব আটক

মো. ইজার উদ্দিন জানান, সচিব রোকনুজ্জামানকে আটকের পর জিজ্ঞাসাবাদ করা হচ্ছে। ইউএনও ও উপজেলা মহিলা বিষয়ক কর্মকর্তার মৌখিক অভিযোগের প্রেক্ষিতে তাকে আটক করা হয়। তবে তার বিরুদ্ধে কেউ এখন পর্যন্ত লিখিত অভিযোগ করেনি।

এদিকে বিষয়টি নিয়ে কোনো মন্তব্য করতে রাজি হয়নি গোবিন্দগঞ্জ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মো. আরিফ হোসেন। মুঠফোনে তিনি বলেন, বিষয়টি তদন্তধীন রয়েছে। কি অনিয়ম ঘটেছে তা জানতে চাইলে তিনি সুনির্দিষ্ট তথ্য দেননি। তবে তদন্ত সাপেক্ষে বিষয়টি পরবর্তীতে নিশ্চিতের কথা জানান এই ইউএনও কর্মকর্তা।

স্থানীয়রা জানান, গত ২৫ এপ্রিল কামারদহ ইউনিয়নের গরিব-অসহায় চার হাজার সুবিধাভোগী পরিবারের মাঝে ১০ কেজি করে চাল বিতরণের কথা ছিল। কিন্তু ওজনে কম ও সুবিধাভোগী অনেক পরিবারকে চাল না দিয়ে ওইদিন চাল বিতরণ শেষ করা হয়। এ নিয়ে চাল আত্মসাতের অভিযোগ উঠে ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান ও সচিবের বিরুদ্ধে। বিতরণের আগেই চালের বস্তা পিকআপ ভ্যানে ফাঁসিতলা বাজারের ব্যবসায়ী আল-আমিনের কাছে বিক্রি করা হয় বলেও অভিযোগ সুবিধাভোগীসহ স্থানীয়দের।

✪ আরও পড়ুন: টানা ছুটিতে আশানুরূপ পর্যটক পাওয়া নিয়ে শঙ্কা

ঘটনার পর চাল ব্যবসায়ী আল-আমিনের সঙ্গে মুঠফোনে কথা হলে তিনি চাল ক্রয়ের কথা স্বীকার করে বলেন, ২৪ এপ্রিল রাতে সচিব তাকে ফোন করে চাল বিক্রির কথা জানালে তিনি ২৮ টাকা কেজি দরে চালের দাম ঠিক করেন। পরে ২৫ এপ্রিল সকাল সাড়ে ৭টার দিকে পরিষদের একটি রুম থেকে ৪০ বস্তা (৫০ কেজি) ওজনের চালের বস্তা পিকআপ ভ্যানে করে নিয়ে আসেন। চালের বস্তা পিকআপ ভর্তির সময় সচিব রোকনুজ্জামান ও চৌকিদার বাবলু মিয়া উপস্থিত ছিলেন। যদিও এ বিষয়ে জানতে কামারদহ ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মো. তৌকির হাসান রচির মুঠফোনে কয়েকবার ফোন দিলেও তিনি রিসিভ না করে ফোন কেটে দেন।