নারীসহ ৪ জনকে কান ধরে উঠবস করালেন ইউপি চেয়ারম্যান

আরও পড়ুন: নওগাঁয় মা-ছেলের মরদেহ উদ্ধার, শাশুড়ি আটক

ভুক্তভোগীরা অভিযোগ করেন, গত ২৪ এপ্রিল রংপুর থেকে বাসে করে বাড়ি ফিরছিলেন ওই নারী। বাসে ঘুমিয়ে পড়ায় ওই নারীকে ভবানিগঞ্জ বদলে সোনাহার বাজারে নামিয়ে দেয় বাস চালক। পরে ওই নারী সোনাহার বাজার থেকে করতোয়া নদী পাড় হয়ে ঝারবাড়ি যাচ্ছিলেন। নুরু বাজারে নেমে সন্ধ্যার পর ঘাটে যাওয়ার রাস্তা জিজ্ঞাসা করছিলেন ধনঞ্জয় নামের এক ব্যক্তির কাছে। এ সময় স্থানীয় কয়েকজন যুবক তাদেরকে আটক করে মারধর করে এবং ইউনিয়ন পরিষদে নিয়ে যায়। এ সময় সুরেশ ও রিয়াজুল নামে আরও ব্যক্তিকে ইউনিয়ন পরিষদে নিয়ে আসা হয়। সারা রাত তাদের ইউনিয়ন পরিষদে আটকে রাখা হয়। পরদিন তাদের বিরুদ্ধে অসামাজিক কাজে লিপ্ত থাকার অভিযোগ তুলে জনসম্মুখে কান ধরে উঠবস করান চেয়ারম্যান।
  
ভুক্তভোগী ওই নারী বলেন, আমি কোনো অপরাধ না করলেও সবার সামনে আমাকে কান ধরে উঠবস করাতে বাধ্য করেছে চেয়ারম্যান ও তার লোকজন। আমাকে লাঞ্ছিত করেছে।। আমি লজ্জায় এখন বাড়ির বাইরে বের হতে পারছি না।

সুরেশ দাস নামে আরেক ভুক্তভোগী বলেন, আমার বন্ধুর ছেলে ধনঞ্জয় আমাকে ফোন দিয়ে জানায় তাকে ইউনিয়ন পরিষদে আটক করে রাখা হয়েছে। আমি তার সঙ্গে দেখা করতে গেলে আমাকেও আটক করে মারধর করে। পরদিন সকালে চেয়ারম্যান মারধর করে এবং কান ধরে উঠবস করাতে বাধ্য করেন। মানুষের কাছে মুখ দেখাতে পারছি না এ ঘটনার পর থেকে।

এ বিষয়ে সোনাহার মল্লিকাদহ ইউনিয়নের চেয়ারম্যান মশিউর রহমান ব্যস্ততা দেখিয়ে বলেন, আমি ও উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা একটু ব্যস্ত আছি। একটু পরে কথা বলছি। পরে তাকে বার বার ফোন দিলেও তার নম্বারটি বন্ধ পাওয়া যায়।

দেবীগঞ্জ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা গোলাম ফেরদৌস বলেন, বিষয়টি আমি শুনেছি। আমার কাছে কেউ কোন অভিযোগ করেনি। তবে চেয়ারম্যান কাউকে এভাবে কান ধরিয়ে উঠবস করাতে পারেন না। চেয়ারম্যানকে এ ক্ষমতা দেয়া হয়নি।