ঢাকা মঙ্গলবার, ২২ অক্টোবর ২০২৪

ঈদে পর্যটক বরণে প্রস্তুত হ্রদ পাহাড়ের শহর

ঈদে পর্যটক বরণে প্রস্তুত হ্রদ পাহাড়ের শহর

নিজস্ব ছবি

সমকাল ডেস্ক

প্রকাশ: ০১ মে ২০২২ | ০৩:০৭ | আপডেট: ০১ মে ২০২২ | ০৩:১৩

পর্যটন ব্যবসায়ীদের আশা, করোনা পরিস্থিতির উন্নতির ফলে শহরের ট্যুরিস্ট স্পটগুলো চেনা রূপে ফিরবে। তাই পর্যটন বরণে সকল প্রস্তুতি নিয়ে রেখেছেন পর্যটনখাত সংশ্লিষ্টরা। অন্যদিকে পর্যটকদের সব ধরনের নিরাপত্তা দিতে ট্যুরিস্ট পুলিশও প্রস্তুত।

রাঙামাটির ঝুলন্ত সেতু, সুবলং ঝর্ণা, সাজেক ভ্যালি, পলওয়েল পার্ক ও হ্রদ ভ্রমণ পর্যটকদের কাছে পছন্দ বেশি। করোনার কারণে গত দুই বছর ঈদে মানুষ ঘরবন্দি ছিল। তবে এ বছর করোনা অনেকটাই নিয়ন্ত্রণে থাকায় এবং ঈদে দীর্ঘ ছুটির জন্য পর্যটকদের ঢল নামবে বলে সংশ্লিষ্টদের প্রত্যাশা।

এদিকে হ্রদে ভ্রমণে পর্যাপ্ত ট্যুরিস্ট বোট প্রস্তুত রয়েছে। নতুন করে বোটগুলোর রং সংস্কার করা হচ্ছে। টেক্সটাইল মার্কেটগুলোও তাদের প্রস্তুতি সেরে নিয়েছেন। আর পর্যটকদের চাহিদা মেটাতে পর্যটনখাতের সংশ্লিষ্ট ব্যবসায়ীরা বাড়তি প্রস্তুতি নিচ্ছে।

সাজেক কটেজ মালিক সমিতির সাধারণ সম্পাদক জেরি লুসাই জানিয়েছেন, আমাদের প্রায় শতাধিক কটেজ আছে। এর বেশিরভাগই বুকিং হয়ে আছে ঈদের ছুটিতে। করোনায় আমাদের যে ক্ষতি হয়েছে, তা ধীরে ধীরে কমে আসবে বলে মনে করছি। তবে করোনা সংক্রমণ কমে আসলেও আমরা সবাইকে স্বাস্থ্যবিধি মানার অনুরোধ করছি বুকিংয়ের সময়।

বোট ঘাটের ব্যবস্থাপক রমজান আলী জানিয়েছেন, ইতোমধ্যেই বেশিরভাগ বোটই নিজেদের প্রয়োজনীয় সংস্কার কাজ সেরে নিয়েছে। কেউবা রঙ করেছে, কেউ সিট বা সিটের গদি বদলেছে, অনেকেই লাইফ জ্যাকেট কিনেছে কিংবা কেউ ধুয়ে মুছে পরিষ্কার করে নিয়েছে।

শহরের নতুন আবাসিক হোটেল স্কয়ার পার্কের স্বত্বাধিকারী নেয়াজ আহমেদ বলেন, আমার হোটেলে যে রুম আছে তার মধ্যে ৬৫টি চালু করেছি। এর মধ্যে প্রায় ৩০টি রুম ইতোমধ্যেই আগাম বুকিং হয়ে গেছে, বাকিগুলোও দ্রুত হয়ে যাবে। ঈদের এই বন্ধকে সামনে রেখে আমি হোটেল নতুন করে রঙ করিয়েছি, বেডশিট-পর্দা-তোয়ালে বদলেছি, হোটেলে ডেকোরেশনেও কিছু পরিবর্তন এনেছি। আমি খুবই আশাবাদী, এই ক’দিনের ব্যবসা নিশ্চিতভাবেই ভালো হবে।

এছাড়া রাঙামাটি পর্যটন করপোরেশনের ব্যবস্থাপক সৃজন বিকাশ বড়ুয়া বলেন, আমার মোটেল-কটেজে ৮৮টি রুম। এগুলোতে দেড় শতাধিক পর্যটক অনায়াসেই থাকতে পারে। এর মধ্যে ৪৪টি ইতোমধ্যেই বুকিং হয়ে গেছে, বাকিগুলোও এই সপ্তাহের মধ্যেই বুকিং হয়ে যাবে বলে আশা করছি। বছরের এই সময়টার জন্য আমরা এমনিতেই প্রস্তুত থাকি, এই বছরও ব্যতিক্রম হচ্ছে না। টানা ছুটির কারণে বিপুল সংখ্যক পর্যটক এবার জেলায় আসবে বলে মনে হচ্ছে।

এদিকে রাঙামাটি ট্যুরিস্ট পুলিশের উপ-পরিদর্শক মো. মনিরুজ্জামান বলেন, ঈদে রাঙামাটিতে প্রচুর পর্যটক আসবে বলে ধারণা করছি আমরা। পর্যটকদের নিরাপত্তা দিতে আমরা প্রস্তুত। আর প্রতিটি পর্যটন স্পটে আমাদের লোকজন থাকবে। আশা করি সবাই সুন্দরভাবে ভ্রমণ করে ফিরে যেতে পারবে।

আরও পড়ুন

×