ঢাকা বুধবার, ২৩ অক্টোবর ২০২৪

পবিত্র কোরআনটিও বের করতে দিলো না প্রশাসন, ভেঙে ফেললো মাদরাসাটি (ভিডিও)

পবিত্র কোরআনটিও বের করতে দিলো না প্রশাসন, ভেঙে ফেললো মাদরাসাটি (ভিডিও)

ভিডিও থেকে নেয়া ছবি

আন্তর্জাতিক ডেস্ক

প্রকাশ: ০৬ মে ২০২২ | ১৫:২৫ | আপডেট: ০৬ মে ২০২২ | ১৫:২৯

দক্ষিণ এশিয়ার মুসলিমদের মুখপাত্র পত্রিকা সিয়াসত ডেইলি শুক্রবার এ খবর দিয়েছে। প্রতিবেদন অনুযায়ী, ঘটনা ভারতের উত্তর প্রদেশ রাজ্যের। ওই মাদরাসার নাম ইসলামিয়া মাদরাসা। রাজ্যের ঘাটামপুর নামক এলাকায় মাদরাসাটির অবস্থান।

প্রতিবেদনে আরও বলা হয়েছে, ঈদের পরদিনই (বুধবার) মাদরাসাটি ভেঙে দেয় হিন্দুত্ববাদী প্রশাসন। কর্তৃপক্ষের দাবি, মাদরাসাটির জন্য ১৮ হাজার ৯০০ স্কয়ার ফিট জমি বরাদ্দ ছিল। কিন্তু মাদরাসা ভবনটি ১ লাখ ৮ হাজার ফিট এলাকাজুড়ে গড়ে তোলা হয়েছিল। এসব জমি ছিল সরকারি।

এদিকে মাদরাসাটি ভেঙে ফেলার একটি ভিডিও ছড়িয়ে পড়েছে সামাজিক যোগাযোগ-মাধ্যমে। সেই ভিডিওর ক্যাপশনে দাবি করা হয়েছে, মাদরাসাটি ভেঙে ফেলার আগে সেটির ভিতর থেকে পবিত্র কোরআনসহ অন্যান্য বই বের করে আনারও সুযোগ দেয়া হয়নি।

ভিডিওতে ভেঙে ফেলা মাদরাসার ধ্বংসাবশেষ থেকে বই-পত্রসহ প্রয়োজনীয় কাগজপত্র বের করে আনতে দেখা গেছে শিক্ষার্থীদের। ভিডিওতে পুলিশ সদস্যদের উপস্থিতিও দেখা গেছে।

যদিও কানপুর পুলিশ সামাজিক যোগাযোগ-মাধ্যমে বিবৃতি দিয়ে দাবি করেছে, ইসলামিয়া সেকেন্ডারি স্কুল ভাঙার কাজ ‘সম্পূর্ণরূপে শান্তিপূর্ণ উপায়ে’ সম্পাদিত হয়েছে।

ঘাটামপুরের সাব ডিভিশনাল ম্যাজিস্ট্রেট বলেছেন, কোনোরকম ধর্মীয় ভাবাবেগে আঘাত করা হয়নি। কোনো পবিত্র বইয়ের অবমাননাও করা হয়নি। পুরো প্রক্রিয়াটি খুব শান্তিপূর্ণ উপায়ে সম্পন্ন করা হয়েছে।

যদিও গণমাধ্যমসমূহের খবর অনুযায়ী, গত দেড় বছর ধরে মাদরাসাটির অবৈধ অংশ ভেঙে ফেলার প্রক্রিয়া চালাচ্ছে পৌর কর্তৃপক্ষ।

তবে প্রথমে যন্ত্রপাতির অভাব এবং পরে নির্বাচনের কারণে এতদিন দেরি হলো। ২০২০ সালে মাদরাসাটির অবৈধ অংশ ভেঙে ফেলার নির্দেশ দেয়া হয়েছিল।

আরও পড়ুন

×