ঢাকা বুধবার, ২৩ অক্টোবর ২০২৪

সেই মহারাষ্ট্রেই এক মসজিদকে লাউডস্পিকার উপহার দিলো হিন্দুরা

সেই মহারাষ্ট্রেই এক মসজিদকে লাউডস্পিকার উপহার দিলো হিন্দুরা

ছবি: সংগৃহীত

আন্তর্জাতিক ডেস্ক

প্রকাশ: ০৭ মে ২০২২ | ০৮:১১ | আপডেট: ০৭ মে ২০২২ | ০৮:১৯

কেলওয়াদ গ্রামে কোনো মুসলিম নেই। তাই সেখানে মসজিদই নেই। এজন্য পাশের কিনহোলা গ্রামের একটি মসজিদের জন্য চাঁদা তুলে লাউডস্পিকার কিনে উপহার দেয় কেলওয়াদের বাসিন্দারা। ঈদের উপহার হিসেবে ওই মসজিদকে লাউডস্পিকার দেয় কেলওয়াদের গ্রামবাসী।

আরও পড়ুন: যুক্তরাষ্ট্রকে পাত্তাই দিলো না ইসরায়েল

কেলওয়াদের গ্রামবাসী ঈদের উপহার হিসেবে লাউডস্পিকার গ্রহণের জন্য কিনহোলার মুসলিম ভাইদের আমন্ত্রণ জানান। কেলওয়াদ থেকে প্রায় ৬ কিমি দূরে কিনহোলার মসজিদটি এই এলাকার একমাত্র মসজিদ। ওই মসজিদে আগে থেকেই লাউডস্পিকার লাগানো আছে।

কিনহোলা থেকে আসা মসজিদের ইমাম বলেন, তিনি লাউডস্পিকারটিকে হিন্দু ভাইদের কাছ থেকে একটি প্রেমময় উপহার হিসেবে গ্রহণ করেছেন এবং এটি ঐক্য ও সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতির প্রতীক হিসেবে ব্যবহার করা হবে।

আরও পড়ুন: গভীর রাতে শর্ট সার্কিট থেকে অগ্নিকাণ্ড, পুড়ে অঙ্গার সাতজন

কেলওয়াদে এই উদ্যোগ নেয়া রাজনৈতিক ও সামাজিক নেতারাও এটিকে গ্রামীণ ভারতে জাতীয় অখণ্ডতা এবং ঐক্যের উদাহরণ হিসাবে অভিহিত করেছেন। কেলওয়াদের একজন প্রবীণ নাগরিক এবং বুদ্ধিজীবী গণেশ নিকম বলেন, হিন্দু-মুসলমানরা বহু শতাব্দী ধরে গ্রামে গ্রামে একসঙ্গে বসবাস করছে। আমাদের একে অপরকে নিয়ে কোনো সমস্যা বা অভিযোগ নেই। রাজনীতিবিদরা নির্বাচনের আগে মেরুকরণের জন্য সম্প্রদায়ের মধ্যে এই নতুন ফাটল তৈরি করার চেষ্টা করছেন। তিনিই মসজিদে লাউডস্পিকার উপহার দেয়ার প্রস্তাব দিয়েছিলেন।

গ্রাম শান্তি কমিটির সভাপতি উমেশ পাটিল বলেন, এই উদ্যোগটি একটি প্রতীকী প্রতিবাদ। আমরা বিশ্বাস করি যে হঠাৎ করে লাউডস্পিকার ইস্যু উত্থাপনের পেছনে উদ্দেশ্য হলো রাজ্যে সাম্প্রদায়িক দাঙ্গা শুরু করা। গ্রামীণ মহারাষ্ট্রে হিন্দু-মুসলমান উভয়েই শান্তিতে বসবাস করছে। আমরা সস্তা রাজনীতিবিদদের জনগণকে উসকানি দিয়ে এবং আমাদের শান্তিপূর্ণ সহাবস্থানকে ধ্বংস করে যেতে দিতে পারি না।

আরও পড়ুন: ৩০ মিনিট আগুনে ছটফট করতে করতে মারা গেলেন জেসমিন-সাফা

আরও পড়ুন

×