ঢাকা মঙ্গলবার, ২২ অক্টোবর ২০২৪

লাইলাতুল কদরে রোজা রখলো যুক্তরাষ্ট্রের দুই শতাধিক অমুসলিম শিক্ষার্থী

লাইলাতুল কদরে রোজা রখলো যুক্তরাষ্ট্রের দুই শতাধিক অমুসলিম শিক্ষার্থী

ছবি - সংগৃহীত

আন্তর্জাতিক ডেস্ক

প্রকাশ: ০১ মে ২০২২ | ১০:৪৬ | আপডেট: ০১ মে ২০২২ | ১০:৪৮

আর এই রোজা থাকা কেবল মুসলিম বন্ধুদের কষ্ট বোঝা কিংবা তাদের প্রতি সংহতি প্রকাশের জন্যই। রোববার স্থানীয় ও আন্তর্জাতিক গণমাধ্যমের বরাতে এ খবর দিয়েছে তুর্কি সংবাদমাধ্যম ডেইলি সাবাহ।

শিকাগোর সিবিএস নিউজের প্রতিবেদন অনুযায়ী, স্কুলটির ইতিহাসে এবারই প্রথম এমন আয়োজন করা হলো। এই রোজা রাখার অনুষ্ঠান বা ইভেন্টকে ‘ফাস্ট-এ-থন’ বলে অভিহিত করেছে তারা।

হ্যালে গুড নামে স্কুলের এক অমুসলিম সিনিয়র শিক্ষার্থী বলেন, আমি আমার বন্ধুদের দেখেছি তারা সারাদিন কিভাবে নো খেয়ে দিন কাটায়। আর দিনের পর দিন তাদের এই শৃঙ্খলতা আমাকে মুগ্ধ করে। এটি সত্যিই দুর্দান্ত একটি বিষয়।

ইস্ট মেইন হাই স্কুলের মুসলিম স্টুডেন্টস অ্যাসোসিয়েশনের উদ্যোক্তা ওয়ালিদ আতাওনেহ বলেছেন, সারাদিন রোজা থেকে দিনশেষে ইফতারে আপনি আপনার বন্ধু-বান্ধব, সহপাঠী কিংবা পরিবারের সঙ্গে একত্রিত হতে পারছেন। আমি মনে করি এটাও পবিত্র রমজানের একটি চেতনা।

জুলিয়া জারোস্লাস্কি নামে মুসলিম বন্ধুদের সঙ্গে একাত্মতা প্রকাশ করে রোজা রাখা এক অমুসলিম ছাত্র জানান, এই রোজা রাখা হলো স্ব-শৃঙ্খলার একটি কঠিন পাঠ। পবিত্র রোজার শিক্ষা ও সংস্কৃতি বুঝতে পেরে তিনি বিমোহিত। রোজা রেখে আমি বুঝতে পারলাম যে, সারা দিন আমি কতবার খাবার ও পানি নিয়ে চিন্তা করি।

মনিসা ইউসরা নামে এক মুসলিম ছাত্রী এই সংহতি প্রদর্শনের প্রশংসা করে সিবিএসকে বলেন, ‘আমি সত্যিই আনন্দিত যে তারা এটি চেষ্টা করেছে।’ হাজিয়া সাইয়েদ নামে এক ছাত্র জানান, এটি (রোজা) আপনার জীবনকে ভিন্ন দৃষ্টিকোণ থেকে দেখতে শেখায়। ঠিক যেন আপনার চোখ খুলে দেয়।

প্রতিবেদন অনুযায়ী, বিশাল এক ভোজের মধ্য দিয়ে রোজা ভাঙে শিক্ষার্থীরা। ২০০ জনের বেশি অমুসলিম এই সংহতি অনশনে বা রোজায় অংশ নেন। জানা গেছে তারা সবাই মিলে স্কুলে ঈদুল ফিতরেরও আয়োজন করবেন। 

শিকাগোর উত্তরে অবস্থিত এই ইস্ট মেইন হাই স্কুলের প্রাক্তন শিক্ষার্থীদের মধ্যে হিলারি ক্লিনটনের মতো রাজনৈতিক ব্যক্তিত্ব কিংবা হ্যারিসন ফোর্ডের মতো বিশিষ্ট অভিনেতাও রয়েছেন।

আরও পড়ুন

×