ঢাকা মঙ্গলবার, ২২ অক্টোবর ২০২৪

বাংলা চলচ্চিত্রের উজ্জ্বল নক্ষত্র সত্যজিৎ রায়ের জন্মদিন আজ

বাংলা চলচ্চিত্রের উজ্জ্বল নক্ষত্র সত্যজিৎ রায়ের জন্মদিন আজ

সত

সমকাল ডেস্ক

প্রকাশ: ০২ মে ২০২২ | ০৮:৪৯ | আপডেট: ০৩ জানুয়ারি ২০২৪ | ০৯:২৭

১৯২১ সালের ২ মে উত্তর কলকাতার গড়পার রোডের বাড়িতে সুকুমার রায় ও সুপ্রভা রায়ের একমাত্র সন্তান হিসেবে জন্ম হয় এই পরিচালকের। তিনি একাধারে চিত্রনাট্যকার, শিল্পনির্দেশক, সংগীত পরিচালক ও লেখক।

ছোট বেলায় পাশ্চাত্য সংগীতেও হাতেখড়ি হয় সত্যজিৎ রায়ের। তাদের বাড়িতে একটি গ্রামোফোন ছিল। এতে ধ্রুপদী সংগীতের রেকর্ডগুলো শুনতেন তিনি। মাত্র ১৪ বছর বয়সে বাংলার সঙ্গে সঙ্গে পাশ্চাত্য সংগীতের প্রতিও আকাঙ্ক্ষাও তৈরি হয় তার। এছাড়া তার এক বন্ধুর প্রচুর পাশ্চাত্য সংগীতের রেকর্ড ছিল। তাই সেই বাড়িতে বাখ, বেটোফেন ও মোৎসার্ট শুনতেন। পাশাপাশি পাশ্চাত্য সংগীতের উপর লেখাপড়া করতেন এই নির্মাত।

সত্যজিৎ রায় ১৯৪৭ সালে কলকাতায় ফিল্ম সোসাইটি প্রতিষ্ঠান করেন। সোসাইটির অবদানে বিশ্বের অনেক বিখ্যাত সিনেমা দেখেন। আর সেই সিনেমা দেখার এক পর্যায়ে নিজেই সিনেমা বানানোর সিদ্ধান্ত নেন। এরপর ১৯৪৮ সালে ইতালির পরিচালক ভিট্টোরিয় ডি সিকার অমরের ‘বাইসাইকেল থিফ’ সিনেমা দেখে অনুপ্রাণিত হন সত্যজিৎ।

১৯৫২ সালে নিজের জমানো টাকায় ‘পথের পাঁচালী’ সিনেমার দৃশ্যগ্রহণ শুরু করেন এই নির্মাতা। শুরুতে ভেবেছিলেন, প্রাথমিক দৃশ্যগুলো দেখার পর কেউ হয়তো সিনেমাটিতে বিনিয়োগ করতে চাইবে না। কিন্তু কেউ এগিয়ে না আসলেও থেমে থাকেননি তিনি। ধীরে ধীরে কাজ চালিয়ে যেতে থাকেন।

এরপর ১৯৫৫ সালে সিনেমাটির নির্মাণ শেষ হলে ওই বছরই তা মুক্তি পায়। মুক্তির পর দর্শক-সমালোচকদের ব্যাপক প্রশংসা লাভ করে সিনেমাটি।

‘পথের পাঁচালি’ সিনেমাটি কান চলচ্চিত্র উৎসবে ‘বেস্ট হিউম্যান ডকুমেন্টারি’ ক্যাটাগরিতে পুরস্কৃত হয়। এছাড়াও আন্তর্জাতিক অঙ্গনে ১১টি পুরস্কার পায়। আর এর মাধ্যমেই চলচ্চিত্রকার হিসেবে দীর্ঘ পথচলা শুরু হয় তার। আর পরবর্তী সিনেমা ‘অপরাজিত’ আন্তর্জাতিকভাবে পরিচিত এনে দেয় তাকে। যা ইতালির ভেনিসের বিখ্যাত গোল্ডেন লায়ন পুরস্কারও অর্জন করে।

✪ আরও পড়ুন: ‘মায়ের রান্না খাবারের জন্য পাগল আমি’

১৯৯২ সালে সত্যজিৎ রায় মৃত্যুর মাত্র একসপ্তাহ আগে বিশ্ব চলচ্চিত্রের সর্বোচ্চ সম্মানজনক অ্যাকাডেমি পুরস্কার পান। ওই বছরই ভারত সরকার দেশটির সর্বোচ্চ অসামরিক সম্মান ভারতরত্ন প্রদান করেন তাকে। জীবদ্দশায় ৩২টি আন্তর্জাতিক পুরস্কার অর্জনও করেন তিনি। এছাড়া দ্বিতীয় চলচ্চিত্র ব্যক্তিত্ব হিসেবে অক্সফোর্ড বিশ্ববিদ্যালয়ের সাম্মানিক ডক্টরেট ডিগ্রি পান তিনি। যা প্রথম চলচ্চিত্র ব্যক্তিত্ব হিসেবে ‘চার্লি চ্যাপলিন’ পেয়েছিলেন।

১৯৮৫ সালে ভারতের সর্বোচ্চ চলচ্চিত্র পুরস্কার দাদাসাহেব ফালকে পুরস্কারও পান সত্যজিৎ রায়।

আরও পড়ুন

×