ঢাকা মঙ্গলবার, ২২ অক্টোবর ২০২৪

মহিলা এমপি’র স্বজনদের সঙ্গে টোল আদায়কারীদের তুমুল মারামারি

মহিলা এমপি’র স্বজনদের সঙ্গে টোল আদায়কারীদের তুমুল মারামারি

পায়রা সেতুর টোল প্লাজায় তুমুল মারামারি

পটুয়াখালী প্রতিনিধি

প্রকাশ: ০৬ মে ২০২২ | ০৬:৪০ | আপডেট: ০৬ মে ২০২২ | ০৭:০৮

বৃহস্পতিবার (৫ মে) রাত সাড়ে ৭টার দিকে লেবুখালী পায়রা সেতুর দক্ষিণ প্রান্তে টোল প্লাজায় এ ঘটনা ঘটে। এ ঘটনার পর পুলিশ ও র‍্যাব সদস্যরা ঘটনাস্থলে উপস্থিত হয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণ করে।

জানা গেছে, সংরক্ষিত আসনের সংসদ সদস্যর বড় ছেলের নতুন বৌ নিয়ে ফেরার পথে এ মারামারির ঘটনা ঘটে।

পায়রা সেতুর টোল আদায়কারী প্রতিষ্ঠানের ম্যানেজার আসাদুজ্জামান বলেন, আমি ঘটনাস্থলে ছিলাম না। আমি জানতে পেরেছি, একটি বিয়ের গাড়িসহ কয়েকটি গাড়ি ব্রিজ পার হয়ে টোল প্লাজায় আসার পর ব্রিজের টোল চাইলে গাড়ি থেকে নেমে মহিলা এমপির পরিবারের সদস্য পরিচয় দেয়া হয়। এ সময় তাদের তথ্য যাছাই-বাছাই করার এক পযার্য়ে গাড়ি থেকে নেমে কয়েকজন যুবক টোল আদায়কারী স্টাফদের সঙ্গে তর্ক এবং এক পর্যায়ে মারধর শুরু করে।

তিনি বলেন, এ ঘটনায় আমাদের কয়েকজন স্টাফ আহত হন। পরে তারা অফিস রুমে এসেও আমাদের মারধর করেন। এ বিষয়ে কর্তৃপক্ষকে জানানো হয়েছে।

আহতরা হচ্ছেন- সিকিউরিটি সুপারভাইজার রাসেল,স্টাফ বাবুল, সুবজ এবং মাহবুব।

আরও পড়ুন: দৌলতদিয়া ঘাটে যাত্রী ও যানবাহনের চাপ বেড়েছে

এ বিষয়ে সংরক্ষিত মহিলা আসনের সংসদ সদস্য কাজী কানিজ সুলতানা হেলেন সাংবাদিকদের মুঠোফোনে জানান, পটুয়াখালী থেকে বরিশাল যাওয়ার পথে পায়রা সেতুর টোল প্লাজার লোকজন বলে, ঈদের বকসিস দিয়ে যান। তখন ছোট ছেলে বলছে, আসার পথে মিষ্টি খাওয়ার টাকা দিবো। যাওয়ার সময় কিছু হলো না। কিন্তু বরিশাল থেকে পটুয়াখালী আসার পথে হটাৎ টোলপ্লাজা এলাকার স্টাফরা বড় ছেলে, ছোট ছেলের সঙ্গে অনেক বাকবিতন্ডায় জড়ায়। এক পর্যায়ে ছোট ছেলের বন্ধু মেরিন ইঞ্জিনিয়ার আশিককে টেনে হিছরে টোলপ্লাজার নিচ তলায় নিয়ে মারধর করা হয়। এ সময় তার সঙ্গে থাকা আইফোন, ড্রাইভারের স্মার্ট ফোন ছিনিয়ে নেওয়া হয়। গাড়ির ভিআইপি হর্ন নিয়ে গেছে। এছাড়া নতুন পুত্রবধূর ডান হাতের তিন আঙ্গুলের ফলছ নক নিয়ে গেছে। এ সময় হাতের স্বর্ণের বালাও নিয়ে গেছে।
 
তিনি আরও বলেন, ঘটনার সময় টোলপ্লাজার বিদ্যুৎ সংযোগ বন্ধ করে দেওয়া হয়। এটি একটি পরিকল্পিত ডাকাতি করা হয়েছে। যেখানে আমার গাড়ি টোলপ্লাজা এলাকায় নিরাপদ নয় সেখানে সাধারণ মানুষ কিভাবে নিরাপদ? এ বিষয়ে আমরা মামলা করবো। তিনি দাবি করেন তার গাড়ি বহরে থাকা আশিক মাহমুদ, ড্রাইভার বিলাল হোসেন ও জাকারিয়া মাহমুদকে আহত করা হয়েছে।

পটুয়াখালী সদর থানার অফিসার ইনচার্জ, দুমকি থানার অফিসার ইনচার্জসহ পুলিশ এবং র‍্যাবের সদস্যরা ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছেন।

এ বিষয়ে পটুয়াখালী সদর থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মো. মনিরুজ্জামান জানান, পরিস্থিতি পুলিশের নিয়ন্ত্রণে রয়েছে। পরবর্তীতে তদন্ত সাপেক্ষে আইনগত পদক্ষেপ নেয়া হবে।

সম্পর্কিত

আরও পড়ুন

×