ঢাকা মঙ্গলবার, ২২ অক্টোবর ২০২৪

ঈদকে বরণ করতে প্রস্তুত কুয়াকাটা সমুদ্র সৈকত

ঈদকে বরণ করতে প্রস্তুত কুয়াকাটা সমুদ্র সৈকত

ফাইল ছবি

সমকাল ডেস্ক

প্রকাশ: ৩০ এপ্রিল ২০২২ | ১৯:০১ | আপডেট: ৩০ এপ্রিল ২০২২ | ১৯:০৭

দীর্ঘ দুই বছর প্রাণঘাতী করোনাভাইরাসের আঘাতে পর্যটন শিল্পের ক্ষতি কাটিয়ে উঠতে ঈদকে সামনে রেখে পর্যটন কেন্দ্র কুয়াকাটাকে নতুন সাজে সাজিয়ে তোলা হয়েছে। হোটেল-মোটেল কর্তৃপক্ষও ব্যাপক প্রস্তুতি নিয়েছে। আগামী ঈদুল ফিতর ও সরকারি লম্বা ছুটিকে সামনে রেখে দেশের বৃহত্তম সমুদ্র সৈকত কুয়াকাটা প্রস্তুত। সেখানে ইতোমধ্যে অগ্রিম হোটেল বুকিং শুরু হয়েছে।

শনিবার (৩০শ এপ্রিল) পর্যন্ত প্রথম শ্রেণির হোটেলগুলোর ৪০-৫০ শতাংশ এবং দ্বিতীয় শ্রেণির হোটেলগুলোর ৩০-৪০ শতাংশ রুম অগ্রিম বুকিং হয়ে গেছে। বিষয়টি নিশ্চিত করেন ট্যুর অপারেটরস অ্যাসোসিয়েশন অব কুয়াকাটার (টোয়াক) সেক্রেটারি জেনারেল জহিরুল ইসলাম।

তিনি জানান, পুরো রমজান মাসজুড়ে পর্যটকশূন্য কুয়াকাটা। সেই সুযোগে হোটেল-মোটেলগুলো পরিপাটি করে তাদের শেষ মুহূর্তের প্রস্তুতি সেরে নিচ্ছে। ১ মে থেকে টানা ছুটিতে লাখো পর্যটকদের আগমনে শত কোটি টাকার বাণিজ্য হবে কুয়াকাটায়, এমনটাই আশা করছি আমরা। আর ইতোমধ্যে হোটেল মোটেলগুলো ঘষামাজা ও রঙের কাজ শেষ করেছে। তবে সড়ক যোগাযোগ ব্যবস্থা ভালো থাকার কারণে এ বছর পর্যটকদের সমাগম অনেক বেশি হতে পারে বলে ধারণা করছেন সেখানকার হোটেল ব্যবসায়ীরা।

এদিকে রোজায় সৈকতে পর্যটক কম থাকায় পুরো সৈকতজুড়ে ভিন্নতা তৈরি হয়েছে। শীত মৌসুমের শেষে সৈকতে উঁচু ঢেউ, জেলেদের মাছ ধরার দৃশ্য ও বর্ষার আমেজ উপভোগে অনেকেই কুয়াকাটায় ছুটে আসবেন বলে ধারণা সংশ্লিষ্টদের।

কুয়াকাটা সৈকতের এক ফটোগ্রাফার জানান, আমরা পুরো রমজান মাসে পর্যটক পাইনি। তবে বেশ আসা নিয়ে ঈদের ছুটির অপেক্ষা করছি।

স্থানীয়রা বলেন, পর্যটকদের ঈদ আনন্দ আরও বড়িয়ে দিতে স্থানীয় মার্কেটের রাখাইন তরুণীরা বিভিন্ন সামগ্রীর পসরা নিয়ে বসে গেছেন। সৈকতে বসার বেঞ্চ ও ছাতায় এখন নতুনত্বের ছোঁয়া। এছাড়া কুয়াকাটার দর্শনীয় স্থান নারিকেল কুঞ্জ, ইকোপার্ক, জাতীয় উদ্যান, শ্রীমঙ্গল বৌদ্ধবিহার, সীমা বৌদ্ধবিহার, ফাতরার বনাঞ্চল, গঙ্গামতি, কাউয়ারচর, লেম্বুরচর, শুঁটকি পল্লীসহ সৈকতের জিরোপয়েন্ট থেকে পূর্ব ও পশ্চিমে মনোমুগ্ধকর সমুদ্রের বেলাভূমি, একাধিক নয়নাভিরাম লেক, সংরক্ষিত বনায়ন ও ইলিশ পার্ক যেন পর্যটকদের হাতছানি দিয়ে ডাকছে।

আরও পড়ুন: চাটমোহরে ফসলি জমির মাটি বিক্রির হিড়িক, নীরব ভূমিকায় প্রশাসন

কুয়াকাটা ইলিশ পার্কের প্রতিষ্ঠাতা পরিচালক রুমান ইমতিয়াজ তুষার জানান, আমাদের ইলিশ পার্কটি অনেক আগেই ধোয়া-মোছা করে নতুনভাবে সাজানো হয়েছে। ইলিশের স্বাদ নেয়ার জন্য আগেভাগেই অর্ডার দিতে শুরু করেছে পর্যটকরা। খাবারের চাহিদা মেটাতে সামুদ্রিক মাছ মজুদসহ সব আয়োজন সম্পন্ন।

রমজান মাসে কুয়াকাটা প্রায় পর্যটকশূন্য ছিল। পটুয়াখালী থেকে কুয়াকাটা ফেরিমুক্ত থাকায় এ বছর ঈদের ছুটিতে পর্যটকদের উপচে পড়া ভিড় থাকবে বলে জানান কুয়াকাটা হোটেল মোটেল ওনার্স মালিক সমিতির সাধারণ সম্পাদক মোতালেব শরীফ।

ট্যুরিস্ট পুলিশ কুয়াকাটা জোনের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার আব্দুল খালেক ‘চ্যানেল 24’ - কে জানান, ট্যুরিস্ট পুলিশ সার্বক্ষণিক তৎপর। তবে এবারের ঈদে ছুটির দিনগুলোতে বিশেষ কয়েকটি টিম ও গোয়েন্দা বিভাগ কাজ করবে। সব ধরনের অপরাধ ঠেকাতে সব সময় প্রস্তুত রয়েছি।

আরও পড়ুন

×