ঢাকা মঙ্গলবার, ২২ অক্টোবর ২০২৪

জঙ্গি হামলা

হলি আর্টিজানে হামলা: হাইকোর্টের রায় পড়া শুরু

হলি আর্টিজানে হামলা: হাইকোর্টের রায় পড়া শুরু

ছবি: সংগৃহীত

সমকাল ডেস্ক

প্রকাশ: ৩০ অক্টোবর ২০২৩ | ০৬:২৫ | আপডেট: ০৩ জানুয়ারি ২০২৪ | ০৬:৫৭

রাজধানীর গুলশানে হলি আর্টিজান বেকারিতে জঙ্গি হামলা মামলায় হাইকোর্টে আপিল ও ডেথ রেফারেন্স রায় পড়া শুরু হয়েছে। সোমবার বেঞ্চের জুনিয়র বিচারপতি মো. মোস্তাফিজুর রহমান বেলা ১১টা ২৭ মিনিটে রায় পড়া শুরু করেন।

এর আগে, ১১ অক্টোবর বিচারপতি সহিদুল করিম ও বিচারপতি মো. মোস্তাফিজুর রহমান সমন্বয়ে গঠিত হাইকোর্ট বেঞ্চ উভয়পক্ষের শুনানি শেষে রায়ের জন্য এ দিন ধার্য করেন।

রাষ্ট্রপক্ষের প্রত্যাশা, সব আসামির মৃত্যুদণ্ড বহাল থাকবে।

২০১৯ সালে ২৭ নভেম্বর ঢাকার সন্ত্রাসবিরোধী বিশেষ ট্রাইব্যুনাল ৭ জঙ্গিকে মৃত্যুদণ্ড দেন। অভিযোগ প্রমাণিত না হওয়ায় চাঁপাইনবাবগঞ্জের মিজানুর রহমান ওরফে বড় মিজান নামে একজনকে খালাস দেওয়া হয়।

রায়ে বিচারক বলেছিলেন, হলি আর্টিজান বেকারিতে হামলার মধ্য দিয়ে আসামিরা ‘জঙ্গিবাদের উন্মত্ততা, নিষ্ঠুরতা ও নৃশংসতার জঘন্য বহিঃপ্রকাশ’ ঘটিয়েছে। সাজার ক্ষেত্রে তারা কোনো অনুকম্পা বা সহানুভূতি পেতে পারে না।

 

এ রায়ের বিরুদ্ধে আপিল করেন কারাগারে থাকা মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত ৭ আসামি। তারা হলেন-জাহাঙ্গীর হোসেন ওরফে রাজীব গান্ধী, আসলাম হোসেন ওরফে র‍্যাশ, হাদিসুর রহমান সাগর, রাকিবুল হাসান রিগ্যান, আব্দুস সবুর খান, শরিফুল ইসলাম ওরফে খালেদ ও মামুনুর রশিদ রিপন।

রায়ের পর নিয়ম অনুযায়ী মৃত্যু দণ্ডাদেশ অনুমোদনের জন্য মামলার ডেথ রেফারেন্স ঐ বছরের ৫ ডিসেম্বর বিচারিক আদালত থেকে হাইকোর্টে আসে। এরপর ১ হাজার ৯০০ পৃষ্ঠার এ পেপারবুক শুনানির জন্য প্রস্তুত করে রাখা হয়। চলতি বছর মে মাসে আপিল আবেদনের ওপর হাইকোর্টে শুনানি শুরু হয়ে ১১ অক্টোবর শেষ হয়।

২০১৬ সালের ১ জুলাই রাতে দেশের ইতিহাসে ভয়াবহ জঙ্গি হামলা ঘটেছিল গুলশানের হলি আর্টিজান বেকারিতে। হামলায় দেশি-বিদেশি ২০ নাগরিক, ২ পুলিশ কর্মকর্তাসহ ২২ জন নিহত হন।

এ হত্যাকাণ্ড সারাবিশ্বে আলোড়ন সৃষ্টি করেছে। এ ঘটনায় গুলশান থানায় সন্ত্রাসবিরোধী আইনে করা মামলার পর ২০১৮ সালের ২৬ নভেম্বর ৮ আসামির বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠনের মধ্য দিয়ে আনুষ্ঠানিক বিচার শুরু হয়। এ মামলায় ১১৩ জন সাক্ষী হাজির করে রাষ্ট্রপক্ষ।

আরও পড়ুন

×