ক্যাম্পাস

মাভাবিপ্রবি রেজিস্ট্রারের অপসারণ চায় শিক্ষক সমিতি

ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট, টাঙ্গাইল, বার্তা২৪.কম

প্রকাশ: ৫ মার্চ ২০১৯, ১৯:২৬

মাভাবিপ্রবি রেজিস্ট্রারের অপসারণ চায় শিক্ষক সমিতি

ইনসেটে অভিযুক্ত মাভাবিপ্রবি রেজিস্ট্রার ড. ইঞ্জিনিয়ার মোহা. তৌহিদুল ইসলাম, ছবি: সংগৃহীত

মাওলানা ভাসানী বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের (মাভাবিপ্রবি) রেজিস্ট্রারকে অপসারণসহ তিন দফা দাবি জানিয়েছে শিক্ষক সমিতি। আগামী ১২ মার্চের মধ্যে দাবি পূরণ করা না হলে লাগাতার কর্মবিরতী পালনের কর্মসূচি দেওয়া হয়েছে।

মঙ্গলবার (৫ মার্চ) বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক লাউঞ্জে জরুরি সভা করেন শিক্ষক সমিতির নেতারা। পরে তারা ভাইস চ্যান্সেলর বরাবর ৩ দফা দাবি জানিয়ে স্মারকলিপি দেন।

দাবিগুলো হলো-

১. গত ২৭ ফেব্রুয়ারি পরিবহন পরিচালককে অবরুদ্ধ করে তার সাথে অসৌজন্যমূলক আচরণের জন্য কর্মকর্তাদের ক্ষমা চাইতে হবে

২. কর্মকর্তাদের জোরপূর্বক শিক্ষকদের বাসে ওঠার ঘটনায় ডিসিপ্লিনারি কমিটি গঠন করে দোষীদের বিচার করতে হবে

৩. কর্মকর্তাদের শিক্ষকবাসে ওঠার জন্য উসকানি দেওয়ায় অযোগ্য রেজিস্ট্রার ড. ইঞ্জিনিয়ার মোহা. তৌহিদুল ইসলামকে অপসারণ করতে হবে।

শিক্ষক সমিতি জানায়, ক্ষমা না চাওয়া পর্যন্ত বিশ্ববিদ্যালয়ের যানবাহনে শিক্ষকরা চড়বেন না। আগামী ১২ মার্চের মধ্যে ঘটনার সুষ্ঠু তদন্ত না হলে একাডেমিক ও প্রসাশনিক সব ধরনের কার্যক্রম থেকে বিরত থাকবেন তারা।

জরুরি সভায় শিক্ষকরা জানান, বিশ্ববিদ্যালয়ের রেজিস্ট্রারের ইন্ধনে কর্মকর্তারা ঔদ্ধত্যপূর্ণ ও জোরপূর্বকভাবে শিক্ষকদের বাসে উঠে পড়ে। রেজিস্ট্রারের বিএনপি-জামায়াতের সাথে সংশ্লিষ্টতা আছে, এমন তথ্য প্রমাণ তাদের কাছে আছে।

তারা জানান, শিক্ষকদের প্রোমোশন-আপগ্রেডেশন, স্কলারশিপ বিশ্ববিদ্যালয় সংশ্লিষ্ট অন্যান্য কাজের জন্য ব্যক্তিগত অনেক তথ্য রেজিস্ট্রারের কাছে দিতে হয়। কিন্তু রেজিস্ট্রার অনেক গোপনীয় তথ্য ফাঁস করে দেয়। বিভিন্ন সময় শিক্ষকদের অমূল্যায়ন ও অসম্মানজনক কথা বলেন, কর্মকর্তাদের উসকানিমূলক কথা বলে শিক্ষকদের বিরুদ্ধে বিভিন্ন আন্দোলনে নামিয়ে দেয়। এ পরিস্থিতে শিক্ষকরা রেজিস্ট্রারকে অনিরাপদ মনে করছেন।

পরিবহন কমিটি ও পরিবহন ক্রয় কমিটির আহবায়ক অধ্যাপক ড. এ. কে. এম মহিউদ্দিন বলেন, ‘শিক্ষকরা কখনই কর্মকর্তাদের গাড়ি ক্রয়ে বাধা তৈরি করেননি। কর্মকর্তারা এসি বাস ক্রয়ের ব্যাপারে প্রাথমিকভাবে পরিবহন কমিটিকে কখনই জানায়নি।’

কর্মকর্তারা পরিবহন কমিটির কাছে এসি গাড়ি ক্রয়ের ব্যাপারে বলেননি বলে ভাইস চ্যান্সেলরের সামনে অফিসার্স অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি স্বীকার করেছেন, এমন দাবিও করেন তিনি।

তিনি বলেন, ‘তারা ভাইস চ্যান্সেলরের কাছে চেয়েছেন। বিশ্ববিদ্যালয়ের হিসাব শাখার পরিচালকও জানিয়ে দিয়েছেন কর্মকর্তাদের জন্য এসি গাড়ির অনুমোদন বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরি কমিশন (ইউজিসি) দেবে না।’

এ বিষয়ে শিক্ষক সমিতির সাধারণ সম্পাদক ড. পিনাকী দে বলেন, ‘শিক্ষকরা ভাইস চ্যান্সেলর বরাবর অভিযোগ জানিয়েছে। রিজেন্ট বোর্ডের মাধ্যমে তদন্ত কমিটি গঠন করে দোষীদের শাস্তির দাবি জানিয়েছি। তবে ১২ মার্চের মধ্যে ঘটনার সুষ্ঠু বিচার না হলে আমরা শিক্ষকরা সকল ধরনের একাডেমিক ও প্রশাসনিক কার্যক্রম থেকে বিরত থাকব।’